scorecardresearch
 

Bengaluru Opposition Meeting: UPA আর নয়, বেঙ্গালুরুর মহা-বৈঠকেই বিরোধী-জোটের নতুন নাম নিয়ে জল্পনা

কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি-সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলির নতুন জোটকে আর ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স (ইউপিএ) বলা হবে না৷ সূত্রের খবর, আজ বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকে নতুন নাম ঠিক হতে পারে।

Advertisement
বেঙ্গলুরুর বৈঠকে জোটের নতুন আত্মপ্রকাশ? বেঙ্গলুরুর বৈঠকে জোটের নতুন আত্মপ্রকাশ?

আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে, আজ বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের একটি 'মহা বৈঠক' অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কংগ্রেসের সঙ্গে এই বৈঠকে ২৪টি দল অংশ নিচ্ছে। এদিকে, সূত্রের খবর কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস  এবং আম আদমি পার্টি  সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলির নতুন জোটকে আর ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স (ইউপিএ) বলা হবে না। সূত্র ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছে যে মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকে নতুন নাম নির্ধারণ করা হতে পারে।

 ইউপিএ ২০০৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বে ছিলেন  সোনিয়া গান্ধী। সূত্রের মতে, প্রস্তাবিত বিজেপি-বিরোধী জোটের একটি সাধারণ ন্যূনতম কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে। সেইসঙ্গে  বৈঠকে রাজ্যের ভিত্তিতে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হবে। সূত্র জানিয়েছে যে আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের জন্য জোটের জন্য একটি সাধারণ ন্যূনতম কর্মসূচির খসড়া তৈরির জন্য একটি উপ-কমিটি গঠন করা হবে।

 বৈঠক প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, '২৬টি দল রয়েছে। আমরা বিভিন্ন ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছি। ভবিষ্যতের সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।' ইউপিএ-র জায়গায় নতুন নাম নিয়ে করা প্রশ্নে জয়রাম রমেশ বলেন, 'চিন্তা করবেন না। আমরা সব সিদ্ধান্ত নেব। আমি এখনই বলতে পারছি না আমরা কী আলোচনা করব কারণ এটা শুধু কংগ্রেসের বিষয় নয়। আমরা সবাই একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব।' মোদীর বিরুদ্ধে কে নেতা হবেন, তার জবাবে রমেশ বলেন, 'সনিয়া গান্ধী সংসদীয়  সব বৈঠকেই ছিলেন। তার উপস্থিতি বিরোধীদের বৈঠকে শক্তি যোগাবে।'  জেডিএস-এর আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে জয়রাম রমেশ বলেছিলেন যে আমন্ত্রণের কোনও প্রয়োজন নেই। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহস যে কেউ আমাদের সঙ্গে আসতে পারেন।

আরও পড়ুন

সোনিয়ার ডিনার রাজনীতি 
একদিকে রাহুল গান্ধী মল্লিকার্জুন খার্গে জোটের সদস্যদের সঙ্গে যোগ রাখছেন, অন্যদিকে সোনিয়া গান্ধীও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। ১৮ জুলাইয়ের বৈঠকে সোনিয়া গান্ধীও যোগ দেবেন। বৈঠকের আগে ১৭ জুলাই রাতে সব বিরোধী দলের নেতাদের নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বলা হচ্ছে, এই ডিনারের আইডিয়াও সোনিয়া গান্ধীর।

Advertisement

পাটনায় অনুষ্ঠিত মহাবৈঠকের  ২৫  দিন পর দ্বিতীয় সভা হতে চলেছে। কিন্তু এরই মধ্যে শরদ পাওয়ারের দল এনসিপির পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গেল। শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার বিদ্রোহ করে মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডে সরকারে যোগ দেন। তাঁর দাবি, তাঁর সঙ্গে এনসিপির ৪০ জন বিধায়ক রয়েছেন। শুধু তাই নয়, এনসিপির বিরুদ্ধেও দাবি তুলেছেন অজিত পাওয়ার। এনসিপির এই লড়াই পৌঁছেছে নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত।

Advertisement