Sovereign Gold Bond: ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তার মাত্র এক বছর পরেই, স্বর্ণ বিনিয়োগ প্রকল্প শুরু করে RBI। স্কিমের নাম সোভারিন গোল্ড বন্ড। এর মাধ্যমে বাজারের চেয়ে কম দামে সোনায় বিনিয়োগ করা যায়। স্কিমের অধীনে ২.৭৫% বার্ষিক রিটার্ন মেলে। সোভারিন গোল্ড বন্ড স্কিমে ম্যাচিওরিটির মেয়াদ ৮ বছর। এর প্রথম কিস্তি ৩০ নভেম্বর ম্যাচিওর হয়েছে। আট বছরে সুদ মিলেছে ১২.৯% ।
সোভারিন গোল্ড বন্ডের (এসজিবি) প্রথম ধাপে ১২.৯% বার্ষিক রিটার্ন মিলেছে। এর মধ্যে বার্ষিক ২.৭৫% (বর্তমানে ২.৫ শতাংশ) হারে নিশ্চিত সুদও ধরা রয়েছে। ২০১৫ সালে এই স্কিমের অধীনে, প্রতি গ্রাম ২,৬৮৪ টাকা দরে সোনায় বিনিয়োগের অপশন ছিল। এদিকে মেয়াদ পূর্তির পর সেই এক গ্রামেরই দাম দাঁড়িয়েছে ৬,১৩২ টাকা। RBI-এর তথ্যানুসারে, প্রথমবারে এই স্কিমে মোট ২৪৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল।
মিউচুয়াল ফান্ড এবং Nifty50-র তুলনায় বেশি রিটার্ন
এই মেয়াদের মধ্যে, Nifty50-তে ১২% রিটার্ন মিলেছে। বিগ ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ডে ১৩% করে গড়ে রিটার্ন মিলেছে। ফলে, কেউ যদি ২০১৫ সালে সোভারিন গোল্ড বন্ড স্কিমে বিনিয়োগ করে থাকেন, তাহলে তিনি এই দু'টি বিনিয়োগ প্রকল্পের চেয়েও বেশি টাকা রিটার্ন পেতেন। Goldenpea-র সিইও অভিজিৎ রায় বিজনেস টুডে-কে জানিয়েছেন, আপনি যদি আসল সোনার পরিবর্তে সোনার বন্ডে টাকা বিনিয়োগ করেন, ক্ষেত্রে শুধু ভাল রিটার্নই পাবেন, এমনটা নয়। বরং ঝুঁকিও কম। তাছাড়া, ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও কিনতে পারেন।
SGB-তে করছাড়ের সুবিধাও পাওয়া যায়
২.৭৫% রিটার্ন ছাড়াও এই স্কিমে করছাড়ের সুবিধাও পাবেন। যদি কেউ এই স্কিমে অনলাইনে বিনিয়োগ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে তিনি প্রতি গ্রামে ৫০ টাকা ছাড় পাবেন। সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হল, ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে না। যেকোনও সময়েই সোভারিন গোল্ড বন্ড বিক্রি করে দিতে পারবেন। ট্যাক্স স্ল্যাবের ভিত্তিতে তিন বছরের মধ্যে বিক্রি করলে, STCG প্রযোজ্য হবে। তিন বছর, কিন্তু আট বছরের মধ্যেই যদি বিক্রি করেন, তাহলে ২০% দীর্ঘমেয়াদি রিটার্ন পাবেন।
SGB-তে সোনার দাম কীভাবে ধরা হয়?
SGB-তে সোনার দাম ম্যাচিওরিটির আগে ২৪ ক্যারেট সোনার দামের সমান হিসাবে ধরা হয়। কিন্তু সেই দাম এক সপ্তাহ আগে থেকে স্থির করা হয়।