India Pakistan White House Reaction: যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারত-PAK উত্তেজনা কমাতে ট্রাম্প, বড় দাবি আমেরিকার

India Pakistan White House Reaction: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘিরে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প শান্তির ডাক দিলেও, ভাইস প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিলেন—এটা আমেরিকার ব্যাপার নয়। জানুন মার্কিন প্রশাসনের অবস্থান ও প্রতিক্রিয়া।

Advertisement
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারত-PAK উত্তেজনা কমাতে ট্রাম্প, বড় দাবি আমেরিকারযত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারত-PAK উত্তেজনা কমাতে ট্রাম্প, বড় দাবি আমেরিকার

India Pakistan White House Reaction: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ উত্তেজনায় হস্তক্ষেপ নয়, কূটনৈতিক সমাধানে জোর দিল আমেরিকা। যুদ্ধের প্রান্তে দাঁড়িয়ে ভারত ও পাকিস্তান, আর ঠিক তখনই হস্তক্ষেপ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র—তবে সামরিক নয়, কেবল কূটনৈতিকভাবে। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয় দেশকে দ্রুত যুদ্ধ থেকে সরে এসে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছেন।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান এই উত্তেজনা যত দ্রুত সম্ভব কমে আসুক।” পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই এই বিবৃতি আসে। লেভিট জানান, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভারত ও পাকিস্তানের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন, যাতে কূটনৈতিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। 

অন্যদিকে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বৃহস্পতিবার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, ভারত-পাকিস্তানের এই দ্বন্দ্বে আমেরিকা সরাসরি কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। ফক্স নিউজ-এ একটি সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স বলেন, “আমরা কেবল এটুকুই করতে পারি, যেন তারা কিছুটা উত্তেজনা কমানোর দিকে এগোয়। কিন্তু এটা আমেরিকার ব্যাপার নয়, আর এতে সামরিকভাবে জড়ানোর কোনো মানে হয় না।”

তিনি আরও বলেন, “আমেরিকা ভারতীয়দের বলতে পারে না অস্ত্র নামাও, পাকিস্তানকেও না। আমরা এই সমস্যা কূটনীতির মাধ্যমেই সমাধান করতে চাই।” ভ্যান্স এও স্বীকার করেন যে, এই সংঘাত আরও বড় আকার নিতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই তারা উদ্বিগ্ন। তবে তাঁর মতে, “আমাদের আশা এবং প্রত্যাশা—এই দ্বন্দ্ব আরও বড় আকার নেবে না, বিশেষত পরমাণু যুদ্ধে পরিণত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আপাতত আমরা দেখছি না।”

মোদ্দা কথা, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসন শান্তির বার্তা দিলেও, সরাসরি হস্তক্ষেপ থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, এবং ভবিষ্যতের দায়ভার দুই দেশের হাতেই ছেড়ে দিয়েছে। 

 

POST A COMMENT
Advertisement