উত্তরপ্রদেশে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে নিরাপদে রয়েছেন বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর দাবি, একশো হিন্দু পরিবারের মধ্যে একটি মুসলিম পরিবার নিরাপদ বোধ করবে, কিন্তু বিপরীতে এটা হয় না। ANI পডকাস্টে আদিত্যনাথ বলেছেন যে ১০০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে ৫০ জন হিন্দু নিরাপদ বোধ করতে পারে না। তিনি এই দাবির পিছনে বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেছেন। যেখানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আদিত্যনাথ বলেন, 'একশো হিন্দু পরিবারের মধ্যে একটি মুসলিম পরিবার সবচেয়ে নিরাপদ। তাঁদের সমস্ত ধর্মীয় কর্মকাণ্ড পালনের স্বাধীনতা থাকবে। কিন্তু ১০০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে কি ৫০ জন হিন্দু নিরাপদ থাকতে পারে? না। বাংলাদেশ একটি উদাহরণ। এর আগে, পাকিস্তান একটি উদাহরণ ছিল।'
যোগী সরকার এই সপ্তাহেই আট বছর পূর্ণ করেছে। আদিত্যনাথ জোর দিয়ে বলেছেন যে ২০১৭ সালে বিজেপি সরকার গঠনের পর থেকে উত্তরপ্রদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একজন যোগী হিসেবে তিনি সকলের সুখ কামনা করেছিলেন। তিনি বলেন,'উত্তরপ্রদেশে মুসলিমরা সবচেয়ে নিরাপদ। যদি হিন্দুরা নিরাপদ থাকে, তাহলে তারাও নিরাপদ। যদি ২০১৭ সালের আগে উত্তরপ্রদেশে হিংসা হত। যদি হিন্দুদের দোকানপাট জ্বলত, তাহলে মুসলিমদের দোকানপাটও জ্বলত। যদি হিন্দুদের ঘরবাড়ি জ্বলত, তাহলে মুসলিমদের ঘরবাড়িও জ্বলত। ২০১৭ সালের পর হিংসা বন্ধ হয়ে যায়।'
মন্দির-মসজিদ বিরোধ সম্পর্কে
বেশ কয়েকটি রাজ্যে মন্দির-মসজিদ বিরোধের বিষয়ে আদিত্যনাথ হিন্দু স্থানগুলিতে মসজিদ নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, এটি ইসলামিক নীতির বিরুদ্ধে। তিনি বলেন যে সরকার সম্ভলে যতগুলি মন্দির রয়েছে তা পুনরুজ্জীবিত করবে। সম্ভলে গত বছর আদালতের নির্দেশে শাহি জামা মসজিদের সার্ভের সময় ব্যাপক হিংসা ছড়িয়েছিল। তাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল। আদিত্যনাথ বলেন, 'সম্ভলে ৬৪টি তীর্থস্থান রয়েছে এবং আমরা ৫৪টি খুঁজে পেয়েছি। যাই হোক না কেন, আমরা তা খুঁজে বের করব। আমরা বিশ্বকে বলব সম্ভলে কী ঘটেছে তা দেখতে।'