উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় হোম স্টে হোটেলে এক মহিলা কর্মচারীকে গণধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। নির্যাতিতার ভিডিওটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যাতে তিনি নিজেকে বাঁচানোর জন্য মানুষের কাছে অনুনয়-বিনয় করছেন। অত্যাচারের কারণে নির্যাতিতাকে তার প্যান্টেই টয়লেট করতে হয়েছে। নির্যাতিতার ওপর হোম স্টেতেই অত্যাচার চালায় ৫ যুবক। প্রতিবাদ করলে মহিলাকে টেনে হিঁচড়ে মারধর করা হয়। মহিলার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে পুলিশকে খবর দেয়। নির্যাতিতা পুলিশকে জানায়, তাকে জোর করে ঘরে ঢুকিয়ে নির্মমভাবে মারধর করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঁচ যুবক জোরপূর্বক মেয়েটিকে হোটেল হোম স্টেতে মদ পান করায় এবং তারপর তাকে ধর্ষণ করে। নির্যাতিতার বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। তিনি বলেন, এর আগে তার একটি আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করা হয়েছিল এবং তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছিল। অভিযুক্ত তার মাথায় কাচের বোতলও ভেঙে ফেলে। হোটেল হোম স্টে তাজগঞ্জ থানা এলাকার তাজনগরী ফেজ ২ এ রয়েছে।
নির্যাতিতা মেয়েটি গত দেড় বছর ধরে হোম স্টেতে কাজ করছিলেন। নির্যাতিতার বন্ধু জিতেন্দ্র তার চার বন্ধুকে নিয়ে হোটেলে পৌঁছে তাকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত ভিডিওও ভাইরাল হচ্ছে।
মহিলা অনুনয়-বিনয় করতে থাকে কিন্তু কেউ শোনেনি
একটি ভিডিওতে, নির্যাতিতাকে দিশেহারা অবস্থায় ঘরের বাইরে মাটিতে শুয়ে থাকতে দেখা যায়, পাশে একজন যুবক দাঁড়িয়ে আছে এবং মহিলা তাকে বলছেন যে তার ছোট ছোট মেয়ে রয়েছে। নির্যাতিতা নির্যাতনের অভিযোগ করছে এবং বারবারসাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন। কয়েকজন যুবক তাকে ধরে বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। দ্বিতীয় ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক জোর করে আটকে রেখেছে নির্যাতিতা মহিলাকে। নির্যাতিতা হাত জোড় করে জীবন বাঁচাতে ক্রমাগত ভিক্ষা করছে কিন্তু যুবক মহিলাকে মাটিতে টেনে অন্য পাশে নিয়ে যাচ্ছে।
সকল অভিযুক্ত গ্রেফতার
টনার বিষয়ে এসিপি সদর অর্চনা সিং বলেন, তাজগঞ্জ থানার পুলিশ খবর পেয়েছে বাসাই চৌকি এলাকার হোম স্টেতে ধর্ষণ ও লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি জানার পর নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ, লাঞ্ছনা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। চারজন পুরুষ ও একজন নারীসহ এ ঘটনায় জড়িত পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে ডাক্তারি পরীক্ষার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।