Pakistani Spy: জ্যোতির পর ধৃত আরও এক পাক গুপ্তচর, ISI-র 'খাস', কী করত?

এবার উত্তরপ্রদেশ থেকে ধরা পড়ল এক পাক গুপ্তচর। ভারতীয় যুবক-যুবতীদের ফাঁসিয়ে ISI এজেন্টদের হাতে পাচার করার মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে ধৃতের বিরুদ্ধে।

Advertisement
জ্যোতির পর ধৃত আরও এক পাক গুপ্তচর, ISI-র 'খাস', কী করত?Pakistani Spy
হাইলাইটস
  • পাক গুপ্তচর সন্দেহে উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার যুবক
  • ISI-এর হাতে মানবপাচারের অভিযোগ
  • ভারতের স্পর্শকাতর তথ্য বেহাত করা হচ্ছিল

হরিয়ানার জ্যোতি মালহোত্রার পর এবার উত্তরপ্রদেশের শেহজাদ। পাকিস্তানি গুপ্তচর সন্দেহে তাকে গ্রেপ্তার করেছে অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড। মোরাদাবাদ থেকে পুলিশের জালে ধরা পড়ে রামপুর জেলার এই বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে ISI আধিকারিকদের সঙ্গে যোগসাজশ এমনকী মানবপাচারেরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রয়েছে। 

তদন্তকারীদের দাবি, উত্তরপ্রদেশের রামপুর সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যুবক-যুবতীদের ফাঁদে ফেলে পাকিস্তানে পাঠাত শেহজাদ। ভারত বিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য ISI তাদের প্রশিক্ষণ দিত। তদন্তে আরও  জানা গিয়েছে, ভারতীয় সিম কার্ডও ISI এজেন্টদের যোগান দিতেন এই শেহজাদ। এই সব সিম পরে দেশবিরোধী কাজে লাগানো হত। 

শেহজাদের সঙ্গে একাধিক ISI আধিকারিকের যোগাযোগ রয়েছে, এমন তথ্যপ্রমাণও এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। এই ISI এজেন্টদের কাছে ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত স্পর্শকাতর ও গোপন তথ্য পাচার করত শেহজাদ। ভারতীয় ভূখণ্ডে ISI-এর কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রেও সে সহযোগিতা করত বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে ভারত-পাক সীমান্তে চোরাচালানের সঙ্গেও যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ। 

শেহজাদ একাধিকবার পাকিস্তানে গিয়েছিল, সে প্রমাণও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, সীমান্তে বেআইনি ভাবে পোশাক, মশলা এবং প্রসাধনী পাচার করত শেহজাদ। এই চোরাচালােনের আড়ালেই গুপ্তচরবৃত্তি চালাত।  বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর উপর নজরদারি চালাচ্ছিল অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড।  

এদিকে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে হরিয়ানার হিসারের জনপ্রিয় ভ্রমণ ব্লগার জ্যোতি মালহোত্রা। 'ট্র্যাভেল উইথ জো' নামের ইউটিউব চ্যানেল চালাত সে। সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৩.৭ লক্ষেরও বেশি। সেই প্ল্যাটফর্মের আড়ালে সে নাকি জড়িয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার একটি গুপ্তচর নেটওয়ার্কে। তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ধারা ৩, ৪, ৫ এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৫২ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। বর্তমানে সে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছে এবং অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা মামলাটির তদন্ত করছে। ভ্রমণ ভিডিও এবং বিদেশ সফরের ডকুমেন্টারি বানিয়ে লাখো দর্শকের মন জয় করা মালহোত্রা একসময় ছিলেন সামাজিক মাধ্যমে ভীষণ জনপ্রিয় মুখ। কিন্তু ২০২৩ সালে পাকিস্তান সফরের সময় নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের কর্মী এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে তার যোগাযোগ তৈরি হয় — যিনি পরবর্তীতে তার হ্যান্ডলার হয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ। 

Advertisement

 

 

POST A COMMENT
Advertisement