Uttarakhand Tunnel Collapse Rescue: ৯ দিন হয়ে গেল। উত্তরকাশীর পাহাড়ি সুড়ঙ্গে এখনও আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে ৩ জন বাংলার শ্রমিকও রয়েছেন। শ্রমিকদের উদ্ধার করতে নানা প্রযুক্তির ব্যবহার চলছে। কিন্তু পাহাড়ে ধসে যাতে কোনও বিপদ না ঘটে, তার জন্য খুব সাবধানে কাজ এগোচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে আজ অর্থাত্ সোমবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
'শ্রমিকদের মনোবল যাতে অটুট থাকে'
মুখ্যমন্ত্রীকে মোদীর পরামর্শ, শ্রমিকদের মনোবল যাতে কোনও ভাবেই ভেঙে না যায়। রাজ্য ও কেন্দ্র একসঙ্গে মিলে শীঘ্রই শ্রমিকদের উদ্ধার করবে। বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য নেন প্রধানমন্ত্রী। আটকে পড়া শ্রমিকদের অক্সিজেন ও খাবার পাঠানো হচ্ছে পাইপের মাধ্যমে। এই নিয়ে উত্তর কাশীর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধামিকে তিনবার ফোন করলেন মোদী।
রুটি ও সবজি পাঠানো হচ্ছে পাইপে
এর আগে রবিবার উত্তরকাশীতে ঘটনাস্থলে যান কেন্দ্রীয় সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রী নিতিন গড়করি। তিনি বলেন, 'আমরা সফল হবই। প্রধানমন্ত্রীও এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন। রাজ্য সরকার আমাদের সাহায্য করছে। ভারত সরকারের একাধিক এজেন্সি কাজ করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদলেরও পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হল, শ্রমিকদের অক্ষত অবস্থায় বের করে আনা। ৬ ইঞ্চি পাইপের মাধ্যমে পানীয় জল ও অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে। এবার রুটি, সবজি ও অন্যান্য সামগ্রীও পাঠাচ্ছি। ৪২ মিটার এগিয়ে গিয়েছি আমরা। খুব শীঘ্রই আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে যাবো।'
আটকে বাংলার ৩ শ্রমিকও
গত ১২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ ব্রহ্মখাল-যমুনোত্রী হাইওয়ের নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গটির একাংশ ধসে পড়ে। সেই থেকে সাড়ে আট মিটার উঁচু ও প্রায় দু কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন ৪১ শ্রমিক। অক্সিজেন ও পাইপের মাধ্যমে ছোলা, বাদাম ইত্যাদি শুকনো খাবার ও দরকারি রসদ পাঠানো হচ্ছে তাঁদের। ধসে পড়া পাথরের মধ্য দিয়ে পাইপ ঢুকিয়ে তার ভিতর দিয়ে আটকে থাকা শ্রমিকদের বার করে আনার কথা ভাবা হয়েছিল। পর পর দু’বার সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। সিল্কিয়ারার দিক থেকে ধ্বংসস্তূপ খননের কাজ শুক্রবার দুপুরের পরে থমকে যায়। রবিবার সন্ধ্যার পরেও তা চালু হয়নি।
পশ্চিমবঙ্গের যে তিন শ্রমিক ওই সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন, তাঁরা হলেন কোচবিহারের তুফানগঞ্জের ১ ব্লকের চেকাডেরা গ্রামের মানিক তালুকদার, হুগলির পুরশুড়ার নিমডাঙির জয়দেব পরামানিক ও পুরশুড়ার হরিণাখালির সৌভিক পাখিরা।