Uttarkashi Tunnel: মেশিনে খুঁড়তে বারবার বাধা, উত্তরকাশীতে নয়া পন্থা ভাবছেন উদ্ধারকারীরা

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায় অগার মেশিন। ফের শুক্রবার সকালে খনন কাজ শুরু হয়। তবে মেশিন ব্যবহার করে ড্রিলিং শুরু হওয়ার পরপরই আরও একবার বাধার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর শুক্রবার রাতেও ফের উদ্ধার অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। এখন উদ্ধারকারী দল ম্যানুয়াল ড্রিলিং করার কথাই বিবেচনা করছেন। তবে এই বিকল্প ব্যবহার করা হলে উদ্ধার অভিযানে আরও সময় লাগতে পারে।

Advertisement
মেশিনে খুঁড়তে বারবার বাধা, উত্তরকাশীতে নয়া পন্থা ভাবছেন উদ্ধারকারীরাuttarkashi tunnel rescue operation
হাইলাইটস
  • উত্তরকাশীর টানেলে উদ্ধার অভিযানে বারবার বাধা কেন? শ্রমিকদের এখনও কেন উদ্ধার করা গেল না?
  • বৃহস্পতিবার গভীর রাতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায় অগার মেশিন। ফের শুক্রবার সকালে খনন কাজ শুরু হয়।
  • তবে মেশিন ব্যবহার করে ড্রিলিং শুরু হওয়ার পরপরই আরও একবার বাধার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর শুক্রবার রাতেও ফের উদ্ধার অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। এখন উদ্ধারকারী দল ম্যানুয়াল ড্রিলিং করার কথাই বিবেচনা করছেন।

উত্তরকাশীর টানেলে উদ্ধার অভিযানে বারবার বাধা কেন? শ্রমিকদের এখনও কেন উদ্ধার করা গেল না? ১৩দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও শ্রমিকদের থেকে ১৪ মিটার দূরেই উদ্ধারকারীরা। উদ্ধারে দেরি হওয়ার কারণ কী? বৃহস্পতিবার গভীর রাতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায় অগার মেশিন। ফের শুক্রবার সকালে খনন কাজ শুরু হয়। তবে মেশিন ব্যবহার করে ড্রিলিং শুরু হওয়ার পরপরই আরও একবার বাধার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর শুক্রবার রাতেও ফের উদ্ধার অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। এখন উদ্ধারকারী দল ম্যানুয়াল ড্রিলিং করার কথাই বিবেচনা করছেন। তবে এই বিকল্প ব্যবহার করা হলে উদ্ধার অভিযানে আরও সময় লাগতে পারে।

উদ্ধারকারী টিম যদিও বারবার বলছে প্রায় সব বাধাই কেটে গিয়েছে। তাঁদের আশ্বাস, টানেলে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিক যে কোনও মুহূর্তে বেরিয়ে আসতে পারেন। এখন টানেলে ৬ ফুটের দুটি পাইপ বসানোর পর কিছুটা বিরতি পাওয়া যাবে। কিন্তু তারপরও শ্রমিকদের বের করতে লাগাতার বিলম্ব হচ্ছে। 

সুড়ঙ্গের ভেতরে ৬-৬ মিটারের দু'টি পাইপ ঢুকিয়ে দিতে পারলেই উদ্ধারকারী দলের পথ সাফ হয়ে যাবে। সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিকের বেরিয়ে আসার পথ খুলে যাবে।

টানেলে দাবা ও তাস খেলছেন শ্রমিকরা
শ্রমিকরা গত ১৩ দিন ধরে টানেলের ভিতরে আছেন। এমতাবস্থায় মনোবিদরাও কর্মীদের মনোবল বাড়াতে নিয়োজিত। শ্রমিকদের লুডো, দাবা ও তাস পাঠানো হয়েছে। শ্রমিকরা টানেলের ভিতরে চোর-পুলিশও খেলছেন। অনেকে যোগব্যায়াম করছেন। এগুলি সবই করা, যাতে তাঁরা মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকেন। চিকিৎসকদের টিম প্রতিদিন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। তাঁদের স্বাস্থ্য ও মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইছেন। উদ্ধারকারী দল টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতিদিন ৩০ মিনিট কথা বলে।

ফল পাঠানো হয়েছে
আটকে পড়া কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর ধামি। তিনি আধিকারিকদের কাছ থেকে উদ্ধার অভিযান সংক্রান্ত আপডেট নেন। সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে সকালের প্রাতঃরাশের জন্য বেরি ও ফল পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, সবদিক দিয়েই  প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। ড্রিলিং সম্পূর্ণ হলেই, একটি ১৫-সদস্যের NDRF দল হেলমেট, অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং গ্যাস কাটার সহ পাইপলাইনের মধ্যে দিয়ে ভিতরে যাবে। ভেতরে আটকে পড়া লোকজনকে বাইরের অবস্থা ও পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো হবে। চিকিৎসকরা বলছেন, যেহেতু টানেলের ভেতরে ও বাইরে তাপমাত্রার ব্যাপক পার্থক্য থাকবে, তাই শ্রমিকদের সঙ্গে সঙ্গে বাইরে আনা হবে না। তবে কবে নাগাদ খনন কাজ শেষ হবে তা জানতে উদগ্রীব দেশবাসী।

POST A COMMENT
Advertisement