Uttarkashi Tunnel Collapse: কেটে গিয়েছে ১১ দিন। উত্তরকাশীর টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ চলছে এখনও। আরেকটি বিকল্প পথ তৈরির কাজ চলছে। শ্রমিকদের পোলাও থেকে রুটি-তরকারি, ফল থেকে ওয়াকি-টকি, জল, অক্সিজেন- ৬ ইঞ্চি পাইপের মাধ্যমেই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে শ্রমিকদের কাছে। এই ৬ ইঞ্চির পাইপই হয়ে উঠেছে শ্রমিকদের শেষ ভরসা। এমনকি প্রিয়জনদের সঙ্গে কথা বলারও এই একমাত্র উপায়।
বস্তুত, উদ্ধার অভিযানর দল ২০ নভেম্বর ধ্বংসস্তূপের বিপরীতে ৬ ইঞ্চি পাইপ নিয়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে এই পাইপের মাধ্যমে সব খাদ্যসামগ্রী শ্রমিকদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। মঙ্গলবার, পোলাও, মটর-পনির এবং মাখনে লাগানো রুটি পাইপের মাধ্যমে শ্রমিকদের রাতের খাবারের জন্য পাঠানো হয়। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে টানেল দুর্ঘটনার ১১ দিন পেরিয়ে গেছে। ভেতরে আটকা পড়া ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধারে যুদ্ধকালীন তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
উদ্ধারকারীরা টানেলের উপরে পাহাড় কেটে একটি ড্রিলিং প্ল্যাটফর্মের জন্য জায়গা তৈরি করেছে। টানেলের মুখের বাঁ দিক থেকে টানেলের সঙ্গে একটি মাইক্রো টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে, যদিও এই প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট সময় নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তাদের উদ্ধার করতে পাঁচটি অ্যাকশন প্ল্যান রয়েছে। মাইক্রো টানেলটি বর্তমান টানেলের লম্ব অবস্থানে বানানোর কাজ শুরু হয়েছে। যেটির মাধ্যমে শ্রমিকদের উদ্ধার করা যেতে পারে। তবে এই টানেলটিও তৈরি করতে সময় লাগবে। মঙ্গলবার প্রথমবার ভিতর আটকে শ্রমিকদের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আসে। কী পরিস্থিতিতে সুড়ঙ্গে দিন কাটাচ্ছেন তা দেখা যায়।