উত্তরকাশী টানেল উদ্ধারকাজআর মাত্র ৩ মিটার, তারপরই উত্তরকাশীর টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে যাবেন উদ্ধারকারীরা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজই শ্রমিকদের টানেল থেকে বের করে আনা হবে। শ্রমিকদের বের করে আনতে টানেলের উপর থেকে খনন করা হচ্ছে। মোট ৮৬ মিটার খনন করতে হবে। যার কারণে ব়্যাট মাইনিং বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছিল ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে ম্যানুয়াল ড্রিলিং করার জন্য। সোমবার সন্ধ্যাতেই ভেঙে যাওয়া আগর ড্রিলিং মেশিনের শেষ অংশটি বের করে আনা হয়েছে।
ব়্যাট মাইনিং বিশেষজ্ঞদের একটি দল সোমবার ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে ম্যানুয়াল খনন শুরু করে ধসে পড়া সিল্কিয়ারা টানেলের ভিতরে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করতে। রিপোর্ট অনুসারে, মোট ১২ জন বিশেষজ্ঞ টানেলের ধসে পড়া অংশের শেষ ১০ বা ১২ মিটার সমান্তরাল ধ্বংসাবশেষে ম্যানুয়াল ড্রিলিং-র সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এখনও পর্যন্ত মোট ৫১.৫ মিটার ড্রিলিং সম্পন্ন হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন, ৫২ মিটার পাইপ বসানো হয়েছে। ৫৭ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত পাইপ স্থাপন করতে হবে। তিনি জানান, ধ্বংসাবশেষ ১০ মিটার পর্যন্ত খনন করতে হবে। ৪-৫ মিটার খনন করা হয়েছে। পাইপও বসানো হয়েছে। ব়্যাট মাইনিং শ্রমিকরা ৪-৫ মিটার খনন করেছেন। মনে করা হচ্ছে এখন মাত্র ৭-৮ মিটার খনন কাজ বাকি আছে। দুটি প্রাইভেট কোম্পানির দুটি দল ম্যানুয়াল সমান্তরাল ড্রিলিংয়ের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। একটি দলে ৫ জন বিশেষজ্ঞ, অন্যটিতে ৭ জন রয়েছেন। এই ১২ জন সদস্যকে কয়েকটি দলে ভাগ করা হয়েছে। এই দলগুলো অবশিষ্ট ধ্বংসাবশেষ বের করবে। খনন কাজ শেষ হওয়ার পরে এতে ৮০০ মিমি ব্যাসের একটি পাইপ ঢোকানো হবে। এর মাধ্যমেই শ্রমিকরা বেরিয়ে আসবেন।
ব়্যাট মাইনিং একটি বিতর্কিত এবং বিপজ্জনক পদ্ধতি, যেখানে ছোট দলে খনি শ্রমিকরা অল্প পরিমাণে কয়লা খননের জন্য সরু গর্তের নীচে যায়। উত্তরাখণ্ড সরকারের নোডাল অফিসার নীরজ খাইরওয়ালের মতে, সাইটে আনা ব্যক্তিরা ব়্যাট মাইনিং শ্রমিক নয়, বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি।