উত্তরকাশীর ভাঙা সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের উদ্ধার অভিযান একদম শেষ পর্যায়ে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে বের করে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স। দিল্লি থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন ৭ জন বিশেষজ্ঞ। উদ্ধার অভিযান দ্রুত শেষ করাই তাঁদের লক্ষ্য।
বুধবার রাতে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়তে খুঁড়তে বাধা হয়ে দাঁড়ায় একটি স্টিলের কাঠামো। খননযন্ত্র দিয়ে সেই স্টিলের কাঠামো সরানো যায়নি। ওয়েল্ডিং করে সেই কাঠামো কাটতে হয়েছে। এছাড়া টানা খুঁড়তে খুঁড়তে যন্ত্র গরম হয়ে গিয়েছিল। অতিরিক্ত গরম হয়ে ওঠায় কাজ বন্ধ রাখতে হয়। যন্ত্র ঠান্ডা হওয়ার পর আবার শুরু হয় কাজ। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের প্রাক্তন উপদেষ্টা ভাস্কর খুলবে জানান, শ্রমিকদের উদ্ধার করার জন্য আরও ১২ মিটার খুঁড়তে হবে। মার্কিন ড্রিলিং মেশিন এখনও কাজ শুরু করেনি। মেশিনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ জোড়ার কাজ শুরু হয়েছে। ড্রিলিং তার পর শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন সুড়ঙ্গ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ অ্যার্নল্ড ডিক্স। তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছে,'চূড়ান্ত ধাপে আমরা পৌঁছে গিয়েছি। এটা ঠিক যেমন দরজার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া। আমি জানি শ্রমিকরা ওপারে আছে। কীভাবে উদ্ধার করা হবে, সেটাই এবার দেখব।'
বুধবার বিকেল ৬টার পরে আচমকা থমকে যায় উদ্ধারকাজ। বাধা হয়ে দাঁড়ায় একটি ৪৪ মিটার লম্বা পাইপ। উদ্ধারকারী অফিসার হরপাল সিং জানান, এই লোহার পাইপটি কাটতে পারেনি খননযন্ত্র। এনডিআরএফ লোহার রডটি কাটার পর খনন শুরু হবে। রাতেই গ্যাস কাটার দিয়ে ওই রডটি কাটা হয়।
শ্রমিকদের উদ্ধারের পর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সুড়ঙ্গের বাইরে রাখা হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স। ৪১টি শয্য়ার একটি হাসপাতাল রাখা হয়েছে। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে সেখানে। ২০০ ঘণ্টার বেশি সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা। উদ্ধারকাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শ্রমিকদের জন্য খোঁজখবর নিয়েছেন। জানতে চেয়েছেন কীভাবে উদ্ধারকাজ চলছে, শ্রমিকদের পথ্য ও খাবার ঠিকঠাক দেওয়া হচ্ছে কিনা।