Two ISI Agent Arrested From India: ভাবুন তো, দেশের ভেতরে বসেই যদি কেউ আমাদেরই বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়? যদি আমাদের সেনাবাহিনী, নিরাপত্তা ব্যবস্থার গোপন খবর শত্রুর হাতে তুলে দেয়? ঠিক এমনই এক ভয়ঙ্কর সত্য সামনে এনেছে উত্তরপ্রদেশের এন্টি টেরর স্কোয়াড (ATS)। ধরা পড়েছে দুই পাক গুপ্তচর—মহম্মদ হারুন ও তুফায়েল। এদের মধ্যে একজন আবার পাকিস্তান হাই কমিশনের এক বিতাড়িত কর্মকর্তার খুবই ঘনিষ্ঠ। ঘটনা শুনলে চমকে যাবেন।
উত্তরপ্রদেশ ATS-এর গোয়েন্দারা নজিরবিহীন অভিযান চালিয়ে মহম্মদ হারুন ও তুফায়েল নামে দুই ব্যক্তিকে পাক গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। হারুন ছিল দিল্লিতে, স্ক্র্যাপ ব্যবসার আড়ালে সে পাকিস্তান হাই কমিশনের প্রাক্তন স্টাফার মহম্মদ মুজাম্মিল হুসেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করত। আর তুফায়েল ধরা পড়েছে বারাণসী থেকে।
হারুন পাকিস্তানের হয়ে দেশের অন্দরের বহু গোপন তথ্য পাঠাত মুজাম্মিলকে, যার মাধ্যমে ভারত সরকার তাকে ‘Persona Non Grata’ ঘোষণা করে দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে। পাকিস্তানের হয়ে হারুন কাজ করত ভিসা সংক্রান্ত নানা কাজে সাহায্য করে, কিন্তু আড়ালে চলত এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র।
আর বারণসীর তুফায়েল? সে তো ৬০০-রও বেশি পাকিস্তানি নাগরিকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে ছিল! রাজঘাট, নামো ঘাট, জ্ঞানভাপী, বারানসী রেল স্টেশন এমনকি লাল কেল্লার মতো স্পর্শকাতর এলাকার ছবি তুলে পাঠিয়েছে পাকিস্তানে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের লিংক শেয়ার করেছে বারাণসীতে, যাতে এখানকার লোকজন সরাসরি পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।
তুফায়েলের সঙ্গে আবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক অফিসারের স্ত্রী নাফিসার যোগাযোগ ছিল। পাশাপাশি সে ‘তেহরিক-ই-লাব্বাইক’ এর নেতার উসকানিমূলক ভিডিও, বাবরি মসজিদের বদলা নেওয়ার মতো বার্তা, এবং শরিয়ত আইন প্রয়োগের ডাকও ছড়িয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। অর্থাৎ, শুধু গুপ্তচর নয়, ভেতর থেকে সমাজে হিংসা ছড়ানো ছিল ওদের অন্যতম লক্ষ্য!।
এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, দেশের ভেতরেই লুকিয়ে থাকতে পারে বিশ্বাসঘাতক। দেশের নিরাপত্তা শুধুমাত্র সীমান্তে নয়, শহরের অন্দরে, আপনার-আমার পাশেই হুমকির মুখে পড়তে পারে। উত্তরপ্রদেশ ATS যে তৎপরতায় এই অপারেশন চালিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। এখন দেখার, তদন্ত কোথায় গিয়ে পৌঁছয়—আর কারা জড়িয়ে আছে এই চক্রান্তে।