Varanasi Station Fire: শনিবার সকালে বারাণসী স্টেশন চত্বরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। পুড়ে ছাই হয়ে গেল ২০০-র বেশি গাড়ি এবং মোটরবাইক। আগুনের তীব্রতায় স্টেশনের আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ এবং দমকল বাহিনী। দ্রুত এলাকা থেকে স্থানীয়দের সরিয়ে আনেন তাঁরা। আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেন রেল পুলিশকর্মীরাও। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।
রেলকর্মীদের সূত্রে খবর, এদিন হঠাৎ গাড়ি পার্কিং লটে আগুন লেগে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জিআরপি-র নজরে আসে। দমকল বাহিনী ও পুলিশে খবর যায়। আরপিএফ-ই দ্রুত 'অ্যাকশনে' নামে। এর ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে।
তবে এমনিতেই বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট বড় স্টেশন। স্বাভাবিকভাবে তার পার্কিং লটে প্রায় ২০০টি গাড়ি ও মোটরসাইকেল পার্ক করা ছিল। আগুনের ফলে সেগুলি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। জানা গিয়েছে জিআরপি-র দফতরের ঠিক পিছনেই এই পার্কিং লট। এই স্ট্যান্ডে মূলত রেলে কর্মচারীরাই তাঁদের গাড়ি-বাইক পার্ক করেন। ফলে তাঁদেরই ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
রেল পুলিশের টিম মিলে অনেক কষ্টে কিছু মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শী এক রেলকর্মী জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে একবার শর্ট সার্কিট হয়েছিল। ইলেকট্রিসিয়ানরা এসে তা দ্রুত মেরামতও করেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরেই ফের শর্ট সার্কিট হয়।
এদিকে মোটরসাইকেল গাড়ি মানেই তাতে বিপুল পরিমাণে দাহ্য পেট্রোল থাকে। ফলে একের পর এক বাইকে আগুন ধরতে শুরু করে। স্টেশনে রেলের নিজস্ব ফায়ার কন্ট্রোল সেকসন থাকলে আগুন এত দ্রুত বাড়ত না বলে মনে করছেন অনেকে। তবে আরপিএফ কর্মীরা দ্রুত অনেকটা চেষ্টা করেছেন বলে তারিফও করেছেন অনেকে।
অন্যদিকে জিআরপি এরিয়া অফিসার কুনওয়ার প্রতাপ সিং জানান, শর্ট সার্কিটের কারণে প্রায় ২০০ মোটরসাইকেল পুড়ে গিয়েছে। আপাতত শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লেগেছে বলে মনে কর হচ্ছে। এর কারণ খুঁজে বের করার জন্য আরও তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি।