ভাইরাল হওয়া আইআইটিয়ান বাবা অভয় সিং মহাকুম্ভের আশ্রম ছেড়ে অজানা কোনও জায়গায় চলে গিয়েছেন। দাবি করা হচ্ছে অভয়ের বাবা-মা তাকে খুঁজতে গতকাল রাতে জুনা আখড়ার ১৬ মাদি আশ্রমে পৌঁছেছিলেন। আশ্রমে উপস্থিত অন্যান্য সাধুদের মতে, অভয় সিং ক্রমাগত সাক্ষাত্কার দিচ্ছিলেন, এটি তার মনে প্রভাব ফেলছিল। তিনি মিডিয়ার কাছে এমন কিছু কথা বলেছিলেন যা উপযুক্ত ছিল না।
আশ্রমের সাধুরা জানান, হঠাৎ করেই অভয়ের মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। সে মাদক সেবন করতে শুরু করে। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ইন্টারভিউ দিতে শুরু করে। তাঁকে জুনা আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর অবধেশানন্দ গিরির কাছেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যে সাধু তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি জানান, তাঁর মানসিক অবস্থা দেখে জুনা আখড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তাঁকে আশ্রম ছেড়ে দেওয়া উচিত। গভীর রাতে অভয় সিং আশ্রম ছেড়ে চলে যান।
তাঁর বাবা-মা আশ্রম ছেড়ে চলে যাওয়ার পর, অভয় সিং আবার মধ্যরাতে জুনা আখড়ায় পৌঁছন, নিজের কিছু জিনিসপত্র নিয়ে চলে যান। জানা যায়, প্রায় ৪০ দিন আগে সোমেশ্বর পুরী নামে এক সন্ন্যাসী অভয় সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সোমেশ্বর পুরী বলেছিলেন, আধ্যাত্মিক স্তরে অভয় আছে, তার একজন গুরুর খুব প্রয়োজন। তবে অভয় সিং কাউকে নিজের গুরু মানেননি। কিন্তু তার আধ্যাত্মিক মর্যাদা অনেক বেশি।
ঝাজ্জারের আইআইটিয়ান বাবা অভয় সিং, যিনি প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিখ্যাত হয়েছিলেন, তিনি মূলত হরিয়ানার ঝাজ্জার সাসরৌলিতে তাঁর পৈতৃক গ্রাম থেকে এসেছেন। বাবা পেশায় একজন আইনজীবী এবং ঝাজ্জার বারের প্রধানও ছিলেন। 'আজ তক' তার বাবা করণ সিংয়ের সঙ্গে কথা বলে।
অ্যাডভোকেট করণ সিং পার্থিব ভোগ ও বিলাসিতা ত্যাগ করে আধ্যাত্মিকতার পথ অবলম্বন করার তথ্য পেয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তিনি বলেন, ছেলে অভয় সিং ছোটবেলা থেকেই শিক্ষাক্ষেত্রে খুবই প্রতিশ্রুতিশীল। ভালো র্যাঙ্ক পেয়ে মুম্বই আইআইটিতে ভর্তি হন। করোনার সময় তিনি কানাডায় থাকতেন। বোনের সঙ্গে থাকতেও সেখানে কাজ করতেন।
করণ সিং আরও বলেন, কানাডা থেকে আসার পর তিনি অভয়কে ভিওয়ানির একটি প্রাকৃতিক চিকিৎসা হাসপাতালে নিয়ে যান। মেডিটেশনের সময় সেখানকার চিকিৎসকরা অভয়ের আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝোঁকের কথা বলেছিলেন। তাঁরা অভয়ের আধ্যাত্মিকতার দিকে যাওয়ায় খুশি নন, তবে নিশ্চিতভাবে বলেছেন যে অভয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সে সম্পর্কে এখন তিনি নিজেই বলতে পারবেন।