Vishwas Kumar: ঘুম আসে না-কথাও বলেন না কারও সঙ্গে; গুম মেরে আছেন আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত ব্যক্তি

১২ জুনের ভয়াবহ এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত ব্যক্তি ৪০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বাস কুমার রমেশ। কিন্তু বেঁচে ফেরাটাই যেন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় যন্ত্রণার কারণ হয়ে উঠেছে। ভাই অজয় কুমার সহ ওই দুর্ঘটনায় বিমানের ২৪১ যাত্রী ও মাটিতে থাকা ১৯ জনের মৃত্যু হয়। সেই মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকে বিশ্বাস মানসিকভাবে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন।

Advertisement
ঘুম আসে না-কথাও বলেন না কারও সঙ্গে; গুম মেরে আছেন আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত ব্যক্তি
হাইলাইটস
  • ১২ জুনের ভয়াবহ এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত ব্যক্তি ৪০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বাস কুমার রমেশ।
  • কিন্তু বেঁচে ফেরাটাই যেন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় যন্ত্রণার কারণ হয়ে উঠেছে।

১২ জুনের ভয়াবহ এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত ব্যক্তি ৪০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বাস কুমার রমেশ। কিন্তু বেঁচে ফেরাটাই যেন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় যন্ত্রণার কারণ হয়ে উঠেছে। ভাই অজয় কুমার সহ ওই দুর্ঘটনায় বিমানের ২৪১ যাত্রী ও মাটিতে থাকা ১৯ জনের মৃত্যু হয়। সেই মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকে বিশ্বাস মানসিকভাবে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন।

বিশ্বাসের খুড়তুতো ভাই সানি জানিয়েছেন, 'সে এখন আর কারও সঙ্গে কথা বলে না। রাতে ঘুম ভেঙে যায়, বারবার সেই দিনের কথা মনে পড়ে। দুই দিন আগে এক মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, চিকিৎসা শুরু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এখনও লন্ডনে ফেরার কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।'

ঘটনার সময় বিশ্বাস ও তাঁর ভাই অজয় দিউতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করে লন্ডনে ফিরছিলেন। দুর্ঘটনার পর ভাইয়ের মৃতদেহ নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে শ্মশান পর্যন্ত গিয়েছিলেন বিশ্বাস—সেই দৃশ্য ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের দিকে হেঁটে যেতে দেখা যায় তাঁকে।

১৭ জুন তাঁকে আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হাসপাতালে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁর অবস্থার খোঁজ নেন।

অনেকেই আজ বিশ্বাসকে ভাগ্যবান বলে মনে করলেও, তাঁর কাছে এই বেঁচে ফেরা যেন এক গভীর অভিশাপ। যাঁরা হারিয়ে গেছেন, সেইসব স্মৃতি ও মুহূর্ত তাঁকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে বেড়াচ্ছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়ে আসার থেকেও ভয়ংকর তাঁর কাছে এই মানসিক ভার।

 

POST A COMMENT
Advertisement