SIR-এ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া এবং ভোট চুরির অভিযোগে বিহারে 'ভোটার অধিকার যাত্রা' করেছিলেন দেশের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। বাইক মিছিলে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেই রকমই এক মিছিল থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তার প্রয়াত মা-কে কটূক্তির অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে সরগরম রাজনীতি। বিজেপির তরফে এর তীব্র ভাষার নিন্দা করা হয়েছে। কংগ্রেসকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছে মোদী-শাহর দল।
বিজেপির বিরুদ্ধে সেই মিছিলটি হয়েছিল দ্বারভাঙ্গায়। যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল। সেখানে মোদীর ও তাঁর মা হীরাবেনকে উদ্দেশ্য করেও কটূ কথা বলা হচ্ছে। সেই অনুষ্ঠানে পোস্টারে দেখা গেছে রাহুল, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও তেজস্বী যাদবের মতো নেতাদের ছবি।
যদিও সেই মঞ্চে কংগ্রেস বা আরজেডির কোনও শীর্ষস্থানীয় নেতাকে দেখা যায়নি। তবে মাইকে স্থানীয় কংগ্রেস নেতা নউশাদের নামে জয়ধ্বনি দিতে শোনা যায় স্থানীয় কর্মীদের। ওই ব্যক্তি বিহারের আগামী নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়াতে পারেন বলে এলাকাবাসীর দাবি।
যদিও এই খবর চাউর হতেই কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব নড়েচড়ে বসে। তাদের তরফে ঘটনার জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়। তিনি টেলিফোনে জানান, রাহুল গান্ধীর সভায় যোগ দেওয়ার জন্য প্রায় ১৫-২০ মিনিট আগে সেই সভাস্থল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। এই ঘটনা নিয়ে তিনি অবগত নন। বলেন, 'আমি দুবার দিল্লি থেকে ভোটে লড়েছি। গত ২০ বছর ধরে সক্রিয় রাজনীতি করছি। একজন সাধারণ কংগ্রেস কর্মী। প্রধানমন্ত্রী বা তাঁর মা-কে কটূ কথা বলা হয়েছে, এমনটা শুনিনি। তবে যদি হয়ে থাকে তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কারণ অনুষ্ঠানের আয়োজন হিসেবে আমারও একটা দায় থেকে যায়।'
দূরত্ব বাড়াচ্ছে কংগ্রেস, ক্ষমা চাওয়ার দাবি বিজেপির
এদিকে এই ঘটনা থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস। দলের দিল্লির কোনও নেতা এই নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে ছাড়তে রাজি নয় বিজেপিও। তাদের শীর্ষ নেতাদের তরফে রাহুল গান্ধীকে এই নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বিজেপির মুখপাত্র নীরজ কুমার বলেন, 'রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে যে ধরণের ভাষা ব্যবহার করেছেন তা অসহনীয়। সেজন্য আপনাকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। বিহারের মানুষ আপনাকে ক্ষমা করবে না।'
বিজেপির সিনিয়র নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ আবার রাহুলের পাশাপাশি তেজস্বীকেও একই বন্ধনীতে রেখে আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'মঞ্চ থেকে রাহুল ও তেজস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মায়ের বিরুদ্ধে যে সব অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা নিন্দনীয়। এটা কেবল মোদীর অপমান নয়, দেশের জন্যও লজ্জার ব্যাপার। এর ফলাফল পাবে কংগ্রেস ও আরজেডি।'