দিল্লি ওয়াকফ বোর্ড প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলিকে সমর্থন করার পরে ওয়াকফ (সংশোধন) বিলের উপর জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটির (জেপিসি) বৈঠকে আবার ঝামেলা হয়েছে। সূত্র জানাচ্ছে যে দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের প্রশাসক আইএএস অশ্বিনী কুমার বিলটিকে সমর্থন করেছিলেন, যখন বিরোধী সাংসদরা তার অবস্থানকে অবৈধ বলে অভিহিত করেছেন।
বিরোধীরা বলেছেন যে দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের প্রশাসকরা মুসলিম নন এবং যুক্তি দিয়েছিলেন যে আইনে বলা হয়েছে যে অমুসলিমরা ওয়াকফ বোর্ডে থাকতে পারে না। বিজেপির এক সাংসদ বলেছেন যে অরবিন্দ কেজরিওয়াল যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তিনি দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডে একজন হিন্দু প্রশাসক নিয়োগ করেছিলেন। সোমবার, দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের উপস্থাপনার প্রতিবাদে বিরোধীরা বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করে।
আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং বলেন যে দিল্লি সরকার উপস্থাপনাটি যাচাই করেনি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতীশির অনুমোদন ছাড়াই ওয়াকফ বোর্ডের প্রাথমিক রিপোর্টে পরিবর্তন আনা হয়েছে বলেও বিরোধীদের অভিযোগ। অতীশি কমিটিকে একটি চিঠিও লিখেছিলেন যে উপস্থাপনাটিকে "অবৈধ" হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। টিএমসি সাংসদ কল্যাণ ব্ন্দ্যপাধ্যায়ও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে গত সপ্তাহে উত্তপ্ত তর্কের পরে একটি কাচের জলের বোতল ভেঙে তার হাত আহত হয়েছিল।
মঙ্গলবার,তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যাপাধ্যায় বলেন যে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে এবং তার বাবা-মাকে গালি দেওয়ার পরে তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। উল্লেখ্য, TMC সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গত সপ্তাহে তার অশালীন আচরণের কারণে এক দিনের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছিল।
তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে সেদিন কংগ্রেসের নাসির হুসেন এবং অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যে উত্তপ্ত তর্ক হয়েছিল। আমি বললাম উনি (অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়) চিৎকার করছেন কেন? এরপর সে আমাকে, আমার মা, আমার বাবা ও আমার স্ত্রীকে গালিগালাজ করতে থাকে। চেয়ারম্যান আসার পর, তিনি আমার প্রতি কঠোর হলেও তার প্রতি নরম ছিলেন। আমি এই আচরণে হতাশ ছিলাম। তারপর, আমি (কাচের) বোতলটি টেবিলের উপর ছুড়ে মারলাম। তিনি আরও বলেন, আমি কখনই স্পিকারের দিকে বোতল নিক্ষেপ করতে চাইনি। তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের কোনও ক্ষমতা নেই মেম্বারকে সাসপেন্ড করার। একমাত্র স্পিকার এটা করতে পারেন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় কলকাতা হাইকোর্টের পচা অ্য়াডভোকেট।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আইনের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যবশত সেদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আমার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ তুলেছিলেন সাংবাদিকদের সামনে। মূলত আইন ভাঙা নিয়ে। সেদিন প্রথমে নাসির ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্য়ে কথাকাটাকাটি হয়েছিল। এরপর তিনি আমাকে হেনস্থা করা শুরু করলেন। আমাকে, আমার মাকে, আমার বাবাকে, আমার স্ত্রীকে..। সেই সময় চেয়ারম্যান ছিলেন না।