কয়েক মাস আগে ওয়েনাড়ে সাড়ে ৩ লক্ষের বেশি ব্যবধানে জিতেছিলেন রাহুল গান্ধী। সংখ্যায় ৩,৬৪,৪২২। দাদার জয়ের মার্জিন পেরিয়ে গেলেন প্রিয়াঙ্কা। সকালে ব্যালট বক্স খুলতেই এগিয়ে থেকে শুরু করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। বেলা গড়াতে বাড়তেই থাকে সেই ব্যবধান। শেষ পর্যন্ত ৪,১০,৯৩১ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন সনিয়া-কন্যা।
২০১৯ সালে ওয়েনাড়ে লোকসভা ভোটে ৪,৩১,৭৭০ ভোটে জিতেছিলেন রাহুল গান্ধী। ২০২৪ সালে সেই ব্যবধান কমে হয় ৩,৬৪,৪২২। রাহুলের জয়ের ব্যবধান প্রিয়াঙ্কা পেরোতে পারেন কিনা, সেনিয়ে সকলের কৌতূহল ছিল। নেহেরু-গান্ধী পরিবারের দশম সদস্য হিসেবে সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চলেছেন প্রিয়াঙ্কা।
প্রিয়াঙ্কার আগে গান্ধী পরিবার থেকে জওহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধী, ফিরোজ গান্ধী, সঞ্জয় গান্ধী, রাজীব গান্ধী, সনিয়া গান্ধী, মানেকা গান্ধী, বরুণ গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী সাংসদ হয়েছেন।প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দেশের দক্ষিণের রাজ্য কেরল থেকে লোকসভার প্রতিনিধি হবেন। ঠাকুমা, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, মা সনিয়া গান্ধী এবং কাকিমা মানেকা গান্ধীর পর প্রিয়াঙ্কা হলেন পরিবারের চতুর্থ মহিলা সাংসদ।
লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের অমেঠি এবং কেরলে ওয়েনাড় থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। দু'টি আসনেই জেতেন। নিয়ম অনুযায়ী একটি আসন ছাড়তে হত। অমেঠি হাতে রেখে ওয়েনাড় ছেড়ে দেন রাহুল। ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন রাহুলের খালি আসনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাকে প্রার্থী করে কংগ্রেস। দীর্ঘদিন ধরে কখনও মা সনিয়া গান্ধী, কখনও আবার রাহুল গান্ধীর হয়ে প্রচার সামলেছেন প্রিয়াঙ্কা। ভোটের ময়দানে অবতীর্ণ হননি। এবারই প্রথম নামলেন ভোটযুদ্ধে।
,দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ১৯১২ সালে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৯৪৭ সালে ১৫ অগাস্ট থেকে ১৯৬৪ সালের ২৭ মে পর্যন্ত ১৬ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৬৭ সালে উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি আসন থেকে নির্বাচনে প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইন্দিরা গান্ধী। পরবর্তীকালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। ইন্দিরা গান্ধীর স্বামী ফিরোজ গান্ধী দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম লোকসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন। প্রতাপগড়-রায়বরেলি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন।