হরিয়ানা ও জম্মু ও কাশ্মীর নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর প্রতিক্রিয়া দিলেন। বুধবার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রাহুল গান্ধী বলেছেন, 'জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ - রাজ্যে ইন্ডিয়া জোটের জয় সংবিধানের বিজয়, গণতান্ত্রিক আত্মসম্মানের জয়। আমরা হরিয়ানার অপ্রত্যাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করছি। বহু বিধানসভা কেন্দ্র থেকে আসা অভিযোগের কথা নির্বাচন কমিশনকে জানাব। হরিয়ানার সমস্ত জনগণকে তাঁদের সমর্থনের জন্য এবং আমাদের বব্বর শের কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।'
হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৯০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসন পেয়েছে, যেখানে কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৩৭টি আসন। এ বার রাজ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে ছোট দলগুলো। আঞ্চলিক দলগুলির কথা বললে, শুধুমাত্র আইএনএলডি ২টি আসন জিতেছে, অন্য কোনও আঞ্চলিক দল খাতা খোলেনি। তবে নির্দল প্রার্থীরা তিনটি আসনে জয়ী হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি, ভূপিন্দর সিং হুডা, ভিনেশ ফোগাট, সাবিত্রী জিন্দাল জিতেছেন। কিন্তু রঞ্জিত সিং চৌতালা, দুষ্যন্ত চৌতালা, দিগ্বিজয় চৌতালা, চিরঞ্জীব রাও নির্বাচনে হেরেছেন। একই সঙ্গে পঞ্চকুলা থেকে জিতেছেন কংগ্রেস প্রার্থী চন্দ্রমোহন।
হরিয়ানার ফলাফল সামনে আসার পরেই কংগ্রেস নানা অভিযোগ তুলেছে। সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্বাচন কমিশনকে অভিযুক্ত করেছিল তারা এবং বলেছিল যে এটি গণতন্ত্রের নয়। তাই দল এই ফলাফল মানছে না। কংগ্রেস নেতা পবন খেদা এবং জয়রাম রমেশ সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করেছেন যে হরিয়ানার ফলাফল খুবই অপ্রত্যাশিত, আমরা এটা মেনে নিতে পারছি না। অনেক জেলা থেকে গুরুতর অভিযোগ এসেছে। আমরা আমাদের কর্মীদের কাছ থেকে ভোট গণনা সংক্রান্ত অভিযোগ পাচ্ছি। আমরা শীঘ্রই একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করব। এটা গণতন্ত্রের নয়, ব্যবস্থার জয়। এটা আমরা মেনে নিতে পারি না।
জয়রাম রমেশ বলেন, আমরা দু-এক দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানাব। স্থানীয় কর্মীদের ওপর চাপ ছিল। এমন অনেক আসন আছে যেখানে আমরা হারতে পারি না, কিন্তু সেখানে আমরা হেরেছি। ফলাফল প্রত্যাশার বিপরীতে যায়। জম্মু ও কাশ্মীর স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে। আমরা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে কাজ করব। একটি সাধারণ ন্যূনতম কর্মসূচি প্রস্তুত করা হবে।