Army Chief Upendra Dwivedi : আর্মি চিফের মুখে 'অপারেশন 2.0', পাকিস্তানকে 'আল্টিমেটাম', কী ঘটতে চলেছে?

পাকিস্তানকে চরম হুঁশিয়ারি ভারতীয় সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদীর। পাকিস্তান যদি মানচিত্রে থাকতে চায় তাহলে তাদের সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করতে হবে। জানালেন সেনাপ্রধান।

Advertisement
আর্মি চিফের মুখে 'অপারেশন 2.0', পাকিস্তানকে 'আল্টিমেটাম', কী ঘটতে চলেছে?Army Chief upendra dwivedi
হাইলাইটস
  • পাকিস্তানকে চরম হুঁশিয়ারি ভারতীয় সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদীর
  • পাকিস্তান যদি মানচিত্রে থাকতে চায় তাহলে তাদের সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করতে হবে
  • জানালেন সেনাপ্রধান

পাকিস্তানকে চরম হুঁশিয়ারি ভারতীয় সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদীর। পাকিস্তান যদি মানচিত্রে থাকতে চায় তাহলে তাদের সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করতে হবে। জানালেন সেনাপ্রধান। অর্থাৎ তাঁর সতর্কবার্তা পাকিস্তানকে সংযত হতে হবে। যে কোনও মূল্যে জঙ্গিদমন করতে হবে। তা না হলে পরিণতি ভোগ করতে হবে। এরপরের কোনও অপারেশনে আর রেয়াত করা হবে না। সেটাও উল্লেখ করেন তিনি। 

মে মাসেই পাকিস্তানর বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছে ভারত। শেহবাজ শরিফের দেশের ৩০০ কিমি ভিতরে ঢুকে একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানের নাগরিকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেটাও খেয়াল রাখা হয়েছিল সেই অপারেশনে। কিন্তু এবার আর কোনও সংযম দেখানো হবে না। জানান উপেন্দ্র। 

শুক্রবার রাজস্থানে এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতীয় সেনাপ্রধান। সেখানে সন্ত্রাসবাদসহ একাধিক ইস্যুতে সেনার অবস্থান স্পষ্ট করে দেন। তখনই বলেন, 'যদি পাকিস্তান বিশ্বের ম্যাপে নিজেদের জায়গা ধরে রাখতে চায় তাহলে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করতে হবে। অপারেশন সিঁদুরের সময় আমরা সংযম দেখিয়েছিলাম। এবার কিন্তু দেখাব না। প্রয়োজনে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাব।' জওয়ানদের সব রকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতও থাকতে বলেন তিনি। তাঁদের লক্ষ্য করে বলেন, 'ঈশ্বরের ইচ্ছা থাকলে আপনারা শীঘ্রই একটা সুযোগ পাবেন। শুভকামনা রইল।' 

এদিকে আজই বায়ুসেনা দিবস উপলক্ষে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন বায়ুসেনা প্রধান অমরপ্রীত সিং। সেখানে তিনি জানান, 'পাকিস্তানের এফ-১৬ এবং জেএফ-১৭ শ্রেণির পাঁচটি যুদ্ধবিমান আমরা ধ্বংস করেছি। ভারতের হামলায় পাকিস্তানের বেশ কিছু র‌েডার, কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার, রানওয়ে এবং হ্যাঙ্গার ধ্বংস হয়েছে।'

প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে ঘটনার পর তার পাল্টা হিসেবে ৬ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানে সেনা অভিযান চালানো হয় ভারতের তরফে। একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। নিকেশ হয় বহু জঙ্গি। তারপর দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে। ১০ মে ভারত এবং পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়। 
 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement