কেন্দ্রের নতুন তিন কৃষি আইন ইস্য়ুতে ক্রমেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী। বৃহস্পিতবারই কেন্দ্র ‘কৃষক বিরোধী আইন’ প্রত্য়াহার না করলে রাজ্য় ও দেশজুড়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই হরিয়ানায় আন্দোলনরত কৃষকদের বার্তা দিতে নিজের প্রতিনিধি পাঠিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয় তৃণমূল নেত্রী নিজেও ফোনে ৪ বার কথা বললেন কৃষকদের সঙ্গে।
দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি তাঁর যে সমর্থন রয়েছে সেই বার্তা আগেই দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী। শুক্রবার ফের ট্যুইট করে আন্দোলনকারীদের প্রতি সহমর্মিতা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই প্রসঙ্গেই ১৪ বছর আগে সিঙ্গুর আন্দোলনের স্মৃতিচারণাও করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।
14 years ago on 4 Dec 2006, I began my 26 day hunger strike in Kolkata demanding that agricultural land cannot be forcefully acquired. I express my solidarity with all farmers who are protesting against draconian farm bills passed without consultation by Centre#StandWithFarmers
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 4, 2020
কেন্দ্রীয় নীতির বিরোধিতায় কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এদিন হরিয়ানা-দিল্লি সীমানায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল বিধায়ক ডেরেক ও'ব্রায়েন। সিঙ্ঘু সীমানায় বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের সঙ্গে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা বৈঠকও করেন ডেরেক। এরপর হরিয়ানা ও পঞ্জাবের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই রাক্ষুসে কৃষি আইন পাস করেছে কেন্দ্র। এই আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রতি তাঁর সহমর্মিতা রয়েছে বলেই জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে দলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে কেন্দ্রের বিপুদ্ধে সুর আরও চড়ায় তৃণমূল। সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার অভিযোগ করেন, দেশে আবার দুর্ভিক্ষ ও আনাহার চাইছে কেন্দ্র। বহুজাতিক সংস্থার স্বার্থেই রাজ্যকে না জানিয়েই সব আইন কুক্ষিগত করছে কেন্দ্র। আর এই প্রসঙ্গেই ১৫ বছর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজকের দিনেই সিঙ্গুর আন্দোলনের অংশ হিসাবে ২৬ দিনের অনশন শুরু করার কথা উল্লেখ করেন কাকলি। তখন থেকেই যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের পাশে আছেন সেই কথাই মনে করিয়ে দেন বারাসতের সাংসদ।