রাজ্যের সব সরকারি কর্মীকে দ্রুত করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, পুরসভার কর্মী ও সামনে থেকে করোনা মোকাবিলা করা অন্যান্য সরকারি কর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল।
এ বার সব সরকারি কর্মীকেই করোনার ভ্যাকসিন একই সঙ্গে সরকারি ও সরকার সহযোগিতায় চলা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এই তালিকা তৈরি করবেন জেলাশাসকরা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ সম্প্রতি জানান, বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ভোটকর্মী, পর্যবেক্ষক ও নিরাপত্তাকর্মীদের কাজে লাগানো হবে। তবে কবে থেকে সরকারি কর্মীদের টিকাকরণ শুরু হবে, তা এখনও জানা যায়নি।
যেহেতু রাজ্যে সমস্ত সরকারি অফিসগুলি খুলে গিয়েছে ও কর্মীদের রোজই অফিস যেতে হচ্ছে, তাই তাঁদের কথা বিবেচনা করে রাজ্যের তরফে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যে জেলাভিত্তিক সরকারি কর্মচারিদের নাম সংগ্রহ করা হবে। জেলাশাসকের কাছে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি আসবে তাতে উল্লিখিত থাকবে সমস্ত সরকারি অফিসের কর্মচারিদের নাম নথিভুক্ত করার কথা। সকলের নাম নথিভুক্ত হলে শুরু হবে টিকাকরণ। রাজ্যে সরকারি কর্মীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ। ইতিমধ্যেই ফের করোনা সংক্রমণ বাড়ছে দেশে। নতুন করে মহারাষ্ট্র ও কেরলে মাথাচাড়া দিয়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, দুই রাজ্যেই গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯ হাজার ৬৭৯ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১০১ জনের। মহারাষ্ট্রে ফের বাড়ছে সংক্রমণ, পরিস্থিতি সামলাতে নতুন কোভিড বিধি উদ্ধব সরকারের, চালু হল লকডাউনের নতুন গাউডলাইনও।