Akash Missile: আকাশ ও আকাশ-প্রাইম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মধ্যে পার্থক্য কী?

ভারতীয় সেনাবাহিনী লাদাখ সেক্টরে ১৫,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি আকাশ প্রাইম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। সেনাবাহিনীর এয়ার ডিফেন্স ইউনিট এবং ডিআরডিও-র কর্তাদের তত্ত্বাবধানে এই পরীক্ষাটি করা হয়েছে।

Advertisement
আকাশ ও আকাশ-প্রাইম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মধ্যে পার্থক্য কী?আকাশ ও আকাশ-প্রাইম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মধ্যে পার্থক্য কী?
হাইলাইটস
  • আকাশ মিসাইল হল ভারতের প্রথম দেশে তৈরি মাঝারি-পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ (SAM) ক্ষেপণাস্ত্র
  • এটি ১৯৮০-এর দশকে ডিআরডিও দ্বারা তৈরি করা শুরু হয়েছিল

আকাশ মিসাইল সিস্টমে হল ভারতের ডিআরডিও-র তৈরি এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম। এখন এর নতুন সংস্করণ আকাশ-প্রাইম এসেছে। যা আরও শক্তিশালী ও নির্ভুল। ভারতীয় সেনাবাহিনী লাদাখ সেক্টরে ১৫,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি আকাশ প্রাইম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। সেনাবাহিনীর এয়ার ডিফেন্স ইউনিট এবং ডিআরডিও-র কর্তাদের তত্ত্বাবধানে এই পরীক্ষাটি করা হয়েছে। কিন্তু, আপনি কি জানতে চান আকাশ এবং আকাশ-প্রাইমের মধ্যে পার্থক্য কী?

আকাশ মিসাইল

আকাশ মিসাইল হল ভারতের প্রথম দেশে তৈরি মাঝারি-পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ (SAM) ক্ষেপণাস্ত্র। এটি ১৯৮০-এর দশকে ডিআরডিও দ্বারা তৈরি করা শুরু হয়েছিল। এটি ২০১৪ সালে ভারতীয় বিমান বাহিনী এবং ২০১৫ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনী এই মিসাইল সিস্টেম তাদের বহরে যোগ করে।

পরিসীমা: ২৭-৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত শত্রু বিমান, ড্রোন এবং ক্রুজ মিসাইলকে টার্গেট করতে পারে।

উচ্চতা: ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারে।

গতি: প্রায় ৩০০০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে চলে।

গাইডেন্স: কমান্ড গাইডেন্স সিস্টেম, যেখানে রাজেন্দ্র রাডারের সাহায্যে লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাক করা হয়।

ওজন এবং ওয়ারহেড: ৭২০ কেজি ওজন এবং ৬০ কেজি বিস্ফোরক ওয়ারহেড।

বিশেষত্ব: এটি একসঙ্গে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে টার্গেট করতে পারে। একটি মোবাইল প্ল্যাটফর্ম থেকে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে। ২০২০ সালে ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনা এবং অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানি বিমান হামলা ব্যর্থ করে আকাশ তার শক্তি প্রমাণ করেছে।

আকাশ-প্রাইম

নতুন উন্নত সংস্করণ আকাশ-প্রাইম হল আকাশের একটি আপগ্রেড সংস্করণ, যা ২০২১ সালে প্রথমবারের মতো পরীক্ষা করা হয়েছিল। এটি বিশেষভাবে অনেক উচ্চ এবং ঠান্ডা অঞ্চলে (যেমন লাদাখ) ব্যবহার করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি সিকার (আরএফ সিকার):

আকাশ-প্রাইমে একটি দেশে তৈরি অ্যাকটিভ আরএফ সিকার রয়েছে, যা আরও নির্ভুল ভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে। আকাশের এই বৈশিষ্ট্যটি ছিল না।

কর্মক্ষমতা: এটি ৪৫০০ মিটার উচ্চতা ও ঠান্ডায় আরও ভাল কাজ করে। গত বুধবার লাদাখে এটি টেস্ট করা হয়েছে। এটি দুটি দ্রুতগতির ড্রোনকে ধ্বংস করে তার ক্ষমতা প্রমাণ করেছে।

Advertisement

পরিসীমা এবং উচ্চতা: আকাশের মতো আকাশ প্রাইমেরও পরিসীমা ২৫-৩০ কিমি এবং এটি ১৮ কিমি পর্যন্ত উচ্চতায় উঠতে পারে।

ডিজাইন: আকাশ-প্রাইমের গ্রাউন্ড সিস্টেম আপগ্রেড করা হয়েছে, যা এটিকে সমস্ত আবহাওয়ায় নির্ভরযোগ্য করে তোলে।

ব্যবহার: লাদাখের মতো সংবেদনশীল এলাকায় বিমান হুমকির (ড্রোন, যুদ্ধবিমান) বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য এটি বিশেষ।

কোনটা ভাল?

আকাশ ইতিমধ্যেই তার ক্ষমতা দেখিয়েছে। যা ভারতের বিমান প্রতিরক্ষার মেরুদণ্ড। কিন্তু আকাশ-প্রাইম এটিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যায়। আরএফ সিকার এবং অনেক উচ্চতায় কাজ করার ক্ষমতা এটিকে শত্রুর নতুন নতুন অস্ত্রের (যেমন চিনা ড্রোন) বিরুদ্ধে কার্যকর করে তোলে। লাদাখের মতো অঞ্চলে, যেখানে অক্সিজেন কম এবং ঠান্ডা বেশি, সেখানে আকাশ-প্রাইমের প্রয়োজনীয়তা বেশি। আকাশ-প্রাইমকে আরও উন্নত করার জন্য কাজ চলছে। এর পরবর্তী পদক্ষেপ হবে আকাশ-এনজি (নিউ জেনারেশন), যার পরিসর ৭০-৮০ কিলোমিটার হবে। এটি আকাশ প্রতিরক্ষায় ভারতকে আরও শক্তিশালী করবে। আকাশ এবং আকাশ-প্রাইম উভয়ই ভারতের প্রতিরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ, তবে আকাশ-প্রাইম নতুন প্রযুক্তি এবং নির্ভুলতার ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে।

POST A COMMENT
Advertisement