এই মুহূর্তে দেশে অন্যতম বড় বিতর্ক হল তিরুপতি মন্দিরের (Tirupati Temple Laddu) লাড্ডুতে পশুর চর্বি। সেই লাড্ডু, যা তিরুপতি মন্দিরের প্রধান প্রসাদ (Tirupati Balaji Temple Prasadam)। গবেষণাগারের রিপোর্টের উল্লেখ করে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর (Andhra Pradesh CM) দাবি, মাছের তেল, গরু, শুয়োরের চর্বি দিয়ে বানানো ঘি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে তিরুপতি বালাজি মন্দিরের বিখ্যাত লাড্ডু। এই ঘটনা ঘটেছে YSR কংগ্রেসের সরকারের আমলে।
তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডু (Tirupati Temple Laddu Controversy) বিতর্ক আসলে কী?
বস্তুত গতবছর নন্দিনী ঘি (Nandini Ghee) নাম ব্র্যান্ডের ঘিয়ের সাপ্লাই বন্ধ করে দিয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। তিরুপতি শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের লাড্ডুর গুণমান অনেকাংশেই নির্ভর করে ঘিয়ের গুণমানের উপরে। ওই লাড্ডু প্রসাদ প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ভক্তকে বিতরণ করা হয়। তিরুপতি তিরুমালা বোর্ড (TTD) প্রতি ৬ মাস অন্তর ঘি-এর টেন্ডার ডাকে। এবং ৫ লক্ষ কেজি ঘি কেনে প্রতি বছর।
কেন নন্দিনী ঘি-এর ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছিল?
গতবছর জগনমোহন রেড্ডির সরকার তিরুপতি মন্দিরে ঘি তৈরিতে ব্যবহৃত নন্দিনী ঘি ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কর্নাটক মিল্ক ফেডারেশনের সঙ্গে দীর্ঘ ১৫ বছরের চুক্তিতে ইতি টানা হয়। আসলে কর্নাটক মিল্ক ফেডারেশনের দাবি ছিল, দুধের দাম বেড়েছে। তাই কম দামে ঘি বিক্রি করতে তারা পারছে না। কর্নাটক মন্ত্রিসভা নন্দিনী দুধে প্রতি লিটারে ৩ টাকা করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
রাজনৈতিক দোষারোপের পালা শুরু হয়ে যায়
এরপর কর্নাটক মিল্ক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কে ভীমা নায়ক বলেছিলেন, 'তিরুপতির লাড্ডুর স্বাদ ও মান আর আগের মতো থাকবে না। বাজারের সেরা ঘি নন্দিনী, একাধিক গুণগত পরীক্ষার পর এই ঘি বাজারে ছাড়া হয়। আমার মনে হচ্ছে, তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডুর মান পড়ে যাবে।' এরপরেই রাজনৈতিক দোষারোপের পালা শুরু হয়ে যায়। BJP অভিযোগ তোলে, কর্নাটকের সিদ্দারামাইয়ার সরকার তিরুপতি মন্দির নিয়ে রাজনীতি করছে। আরও অভিযোগ ছিল, তিরুপতির লাড্ডু তৈরির জন্য ঘি-এর ব্র্যান্ড বদলের জন্য চাপ দেওয়া হয় YSR কংগ্রেসকে।
এবার চন্দ্রবাবু নাইডু ক্ষমতায় রয়েছেন। তিনি ফের সেই ইস্যু তুললেন। এখন প্রশ্ন হল, নন্দিনী ঘি-এর যে ব্র্যান্ড, তা কি ফের ফিরছে তিরুপতির লাড্ডুতে? সেটাই এখন দেখার।