DSP Kalpana Verma: ‘স্বপ্নে শুধু তোমাকেই...’, ব্যবসায়ীর সঙ্গে ছত্তীসগঢ়ের মহিলা DSP-র চ্যাট প্রকাশ্যে, কী রয়েছে?

ছত্তীসগঢ়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে একটি হোয়াট্‌সঅ্যাপ চ্যাট। যা দন্তেওয়াড়ার ডেপুটি পুলিশ সুপার (ডিএসপি) কল্পনা বর্মা এবং ব্যবসায়ী দীপক টন্ডনের মধ্যে হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। রাতের বেলায় কল্পনা দীপককে লিখেছেন, 'রাতে শুধু তোমারই স্বপ্ন দেখি। একটু তো ফোনও করতে পারো।'

Advertisement
‘স্বপ্নে শুধু তোমাকেই...’, ব্যবসায়ীর সঙ্গে ছত্তীসগঢ়ের মহিলা DSP-র চ্যাট প্রকাশ্যে, কী রয়েছে?ডিএসপি কল্পনা ভার্মা।-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • ছত্তীসগঢ়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে একটি হোয়াট্‌সঅ্যাপ চ্যাট।
  •  যা দন্তেওয়াড়ার ডেপুটি পুলিশ সুপার (ডিএসপি) কল্পনা বর্মা এবং ব্যবসায়ী দীপক টন্ডনের মধ্যে হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

ছত্তীসগঢ়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে একটি হোয়াট্‌সঅ্যাপ চ্যাট। যা দন্তেওয়াড়ার ডেপুটি পুলিশ সুপার (ডিএসপি) কল্পনা বর্মা এবং ব্যবসায়ী দীপক টন্ডনের মধ্যে হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। রাতের বেলায় কল্পনা দীপককে লিখেছেন, 'রাতে শুধু তোমারই স্বপ্ন দেখি। একটু তো ফোনও করতে পারো।'

এই চ্যাট ঘিরেই দুই পক্ষের মধ্যে বড় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। দীপক অভিযোগ তুলেছেন যে কল্পনা তাঁকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে দুই কোটি টাকা, হিরের আংটি, সোনার হার এবং একটি বিলাসবহুল গাড়ি নিয়েছেন। তবে ডিএসপি কল্পনা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন, হোয়াট্‌সঅ্যাপ চ্যাট ভুয়ো।

চ্যাটের আরও অংশে লেখা ছিল, 'তোমাকে বারবার বারণ করেছিলাম। আমি অফিসার্স মেসে থাকি। কেউ দেখে নেবে। আমাকে কি ফাঁসানোর ইচ্ছা আছে তোমার? বাবা দেখেছে, রাতে এত ভিডিয়ো কলে কার সঙ্গে কথা বলিস? স্বপ্নে শুধু তোমাকেই দেখি।'

একটি অন্য চ্যাটে লেখা, 'স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দেব? 
দিয়ে দাও… তবে আমার নাম যেন প্রকাশ্যে না আসে।
“শুধু তোমারই অভাব বোধ করছি। টাকা তো আসবে-যাবে…”
“আমি তো রয়েইছি। সারাজীবন তোমার সঙ্গে থাকব।”

বিভিন্ন সূত্রের দাবি, হোয়াট্‌সঅ্যাপ চ্যাট দীপকের স্ত্রী বরখার হাতে পৌঁছানোর পর তাদের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের তথ্য জানতে পারেন। এর পরই অশান্তি শুরু হয়। দীপক পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন যে কল্পনা তাঁকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছেন।

কীভাবে এই সম্পর্ক গড়ে উঠল?
সূত্র জানিয়েছে, ২০২১ সালে মহাসমুন্দে প্রথম পোস্টিং হয় ডিএসপি কল্পনার। সেই সময় কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে হোটেল ব্যবসায়ী দীপকের হোটেলে যান কল্পনা। বন্ধুর মাধ্যমে দীপকের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং ফোন নম্বর আদানপ্রদান হয়। পরিচয়ের কয়েক দিন পরই কল্পনা ফোন করেন দীপককে। এরপর ধীরে ধীরে দেখা-সাক্ষাৎ ও ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। রায়পুরে বদলির পরও যোগাযোগ অব্যাহত থাকে, এবং কল্পনা দীপকের বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেন। এভাবেই ব্যবসায়ী দীপক এবং ডিএসপি কল্পনার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা বর্তমানে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement