Representative Image একজন মহিলা শারীরিক মিলনে যদি অসম্মত হন, তাহলে তাঁকে জোর করা যাবে না। তিনি যদি 'না' বলে থাকেন তাহলে তার অর্থ 'না'। একটি মামলায় এই পর্যবেক্ষণ বম্বে হাইকোর্টের। নিম্ন আদালতের রায় বহালও রাখল রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত।
বিচারপতি নিতিন সূর্যবংশী এবং এম ডব্লিউ চাঁদওয়ানির বেঞ্চ এও জানায়, একজম মহিলার যৌনজীবন কেমন তা দেখে তাঁকে বিচার করা যাবে না। সেটি তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। তিনি আগে কারও সঙ্গে যৌন জীবনে সক্রিয় ছিলেন, এখন চান না। এর অর্থ এমন নয় যে, তাঁর সম্মতি ছাড়া ঘনিষ্ঠ হওয়া যাবে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, একজন মহিলার সম্মতি ছাড়া যৌন মিলন তাঁর শরীর, মন এবং গোপনীয়তার উপর আক্রমণ। যা নিন্দনীয় ও অপরাধের সামিল।
২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে তিন ব্যক্তি নির্যাতিতার বাড়িতে ঢুকে তাঁর লিভ-ইন পার্টনারকে মারধর করে। জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এরপর একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। অভিযুক্তরা দাবি করে, সেই মহিলা প্রথমে তাদেরই একজনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু পরে অন্য একজনের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
কিন্তু হাইকোর্ট জানায়, যদি একজন মহিলা স্বামীর থেকে বিচ্ছিন্ন হন, বা বিচ্ছিন্ন না হয়েও একা থাকেন, তাহলেও তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের জন্য সম্মতি নিতে হবে। তাঁকে জোর করা যাবে না। এমনকী অতীতে সম্পর্কে থাকলেও জোর করা যাবে না।
আদালতের পর্যবেক্ষণ,'কোনও মহিলা একটা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে কোনও পুরুষের সঙ্গে যৌন কার্যকলাপে সম্মতি দিতে পারেন। এর অর্থ এটা নয় যে, তিনি সব সময় সম্মতি দেবেন। একজন মহিলার চরিত্র কেমন বা তিনি কতটা নৈতিক তা যৌনসঙ্গীর সংখ্যা দিয়ে বিচার করা যাবে না।'