বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যা ১৪১.৭২ কোটি। রাষ্ট্রসংঘ বলছে যে এই গতিতে জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে ২০৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ১৭০ কোটিতে পৌঁছবে। তবে, রাষ্ট্রসংঘ এও বলেছে যে এর পরে জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে এবং অনুমান করা হচ্ছে জনসংখ্যা ১২ শতাংশ হ্রাস পাবে। কিন্তু পতনের পরেও, ভারত পুরো শতাব্দী জুড়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ থাকবে।
১১ জুলাই বৃহস্পতিবার সারা বিশ্ব পালিত হয়েছে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। এই দিনে প্রকাশিত বিশ্ব জনসংখ্যা সম্ভাবনা ২০২৪ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে আগামী ৫০-৬০ বছরে বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, ২০৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় ১০৩০ কোটি লোকে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৪ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ৮২০ কোটি। জনসংখ্যার শীর্ষে পৌঁছনোর পরে, বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে, শতাব্দীর শেষ নাগাদ জনসংখ্যা ১০২০ কোটিতে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বছর বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চিনকে পেছনে ফেলে ভারত। ভারত ২১০০ সাল পর্যন্ত শীর্ষে থাকবে। রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক অফিসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে "ভারতের জনসংখ্যা, যা পুরো শতাব্দী জুড়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, ২০৬০ এর প্রথম দিকে প্রায় ১৭০ কোটিতে পৌঁছনোর পরে ১২ শতাংশ হ্রাস পাবে।"
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের জনসংখ্যা ২০২৪ সালে ১৪৫ কোটি হবে এবং ২০৫৪ সালে তা বেড়ে ১৬৯ কোটি হবে। এর পরে, ২১০০ সালে এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ ভারতের জনসংখ্যা ১৫০ কোটিতে নেমে আসবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ভারত বর্তমানে জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ
বিশ্বের জনসংখ্যার অবস্থা কী?
রিপোর্ট অনুসারে, আগামী ৫০-৬০ বছরে বিশ্বের জনসংখ্যা বাড়তে থাকবে, যা ২০৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় ১০৩০ কোটিতে পৌঁছাবে। এর পর শতাব্দীর শেষ নাগাদ এটি ধীরে ধীরে ১০২০ নেমে আসবে।
জনসংখ্যার দিক থেকে চিনের অবস্থা কী হবে?
প্রতিবেদন অনুসারে, চিনের জনসংখ্যা, যা ২০২৪ সালে ১৪১ কোটি, ২০৫৪ সালে ১২১ কোটি এবং ২১০০ সালের মধ্যে আরও কমে ৬৩ কোটিতে নামবে। চিন বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল দেশ ভারতের পরে। দেশটিতে ২০২৪ থেকে ২০৫৪ সালের মধ্যে জনসংখ্যা ২০৪ কোটি কমে যাবে। শতাব্দীর শেষ নাগাদ এখানে বড় ধরনের পতন ঘটবে।