কয়েক মাস পর ভোট তাও অসমে কেন SIR হচ্ছে না? কারণ জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের মতো অসমেও হবে বিধানসভা নির্বাচন। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৪ থেকে ৫ মাসের মধ্যে ভোট দেবে অসমের আম আদমি। তবে সেখানে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন।

Advertisement
কয়েক মাস পর ভোট তাও অসমে কেন SIR হচ্ছে না? কারণ জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারgyanesh kumar
হাইলাইটস
  • ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের মতো অসমেও হবে বিধানসভা নির্বাচন
  • সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৪ থেকে ৫ মাসের মধ্যে ভোট দেবে অসমের আম আদমি
  • তবে সেখানে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন

২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের মতো অসমেও হবে বিধানসভা নির্বাচন। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৪ থেকে ৫ মাসের মধ্যে ভোট দেবে অসমের আম আদমি। তবে সেখানে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। আপাতত SIR তালিকার বাইরেই রাখা হয়েছে অসমকে। 

কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন? তা জানালেন খোদ নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। অসমে কেন SIR হচ্ছে না? সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, 'অসম সম্পর্কে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। আপনারা সবাই জানেন, ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনে অসমে নাগরিকত্বের জন্য আলাদা বিধান রয়েছে। আর একটি বিষয় হল, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে সেখানে নাগরিকত্ব যাচাই কার্যক্রম সম্পন্ন হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে ২৪ জুনের SIR আদেশ সমগ্র দেশের জন্য ছিল এবং অসমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। অতএব, অসমের জন্য একটি পৃথক সংশোধন আদেশ জারি করা হবে।' 

এদিন একাধিক সাংবাদিক পশ্চিমবঙ্গে SIR নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। 'এই রাজ্যে SIR এ একজন বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলেও আন্দোলন হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। তার মোকাবিলা কীভাবে কমিশন করবে?' এই প্রশ্নের জবাবে জ্ঞানেশ কুমার বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে বাধা পাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। সংবিধানের অন্তর্গত সব সংস্থা নিজের দায়িত্ব পালন করবে। এটাই হয়ে আসছে। যে কোনও রাজ্য সরকারকেও নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে। জুন ২৪ এর যে নির্দেশ তা গোটা দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সংবিধানের ৩২৪ নম্বর ধারা অনুসারে,  ভোটার তালিকা তৈরি করবে নির্বাচন কমিশন। সেজন্য যে যে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন তা তারা করবে। প্রয়োজন অনুযায়ী লোকবল দিয়ে রাজ্য সরকার সাহায্য করবে। আর রাজ্য সরকার তা করতে বাধ্য। এনিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনও সংকোচ নেই। অতীতেও তা হয়েছে।' 

জ্ঞানেশ কুমার আরও জানান, ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, যদি কেউ ৮ জুলাই ১৯৮৭-এর আগে ভারতে জন্মগ্রহণ করে থাকেন, তাহলে তাঁকে ভারতের নাগরিক বলে বিবেচনা করা হয়। যদি তার সঙ্গে ১৮ বছর জোড়া হয় তাহলে ২০০৩, ২০০৪ বা ২০০৫ হবে। তাই যদি সেই সব বছরের ভোটার তালিকায় নাম থাকে তবে তাঁদের নাগরিকত্বের কোনও প্রমাণ দিতে হবে না।  
 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement