শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে চাইলেই স্ত্রী ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। সেই টাকা না দিলে কাছে ঘেঁষতে দেন না স্ত্রী। থানায় এমনই অভিযোগ করলেন এক আইটি কর্মী। ঘটনা বেঙ্গালুরুর। তদন্তে নেমে মহিলাকেও থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র ওই ব্যক্তি। ২০২২ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের আগে থেকেই ওই যুবতী ও শাশুড়ি তাঁকে টাকা চাইতেন। সেই সময় একাধিকবার তিনি টাকা দিয়েওছিলেন। বিয়ের খরচ বাবদ তাঁর কাছে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিল। সেই দাবি পূরণ করেছিলেন। বিয়ে ভালোসভাবেই সম্পন্ন হয়েছিল।
অভিযোগকারীর দাবি, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার শুরু করেন। শারীরিক মিলনে অসম্মতি জানাতে থাকেন দিনের পর দিন। একটা সময় এমন আসে যখন স্ত্রী সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য প্রতি রাতে ৫ হাজার টাকা দাবি করতে থাকেন। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করলে আত্মহত্যার হুমকি দেন। ব্যক্তির আরও অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী একাধিকবার তাঁর গোপনাঙ্গে আঘাত করেছেন।
অভিযোগপত্রে ব্যক্তি লিখেছেন, তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়ি একটি বাড়ি কিনতে চান। সেজন্য ৬০ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। প্রতি মাসে ৭৫ হাজার টাকা ইএমআই দেওয়ার জন্যও চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। তিনি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার শুরু হয়। টাকা না দেওয়ায় সন্তান ধারণ করেননি স্ত্রী। ডিভোর্স দিয়ে ৪৫ লাখ টাকা নেবেন বলেও জানিয়ে দেন।
এদিকে ওই মহিলার দাবি, তাঁর সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক ভালো নয়। একথা সত্যি। তবে সবটাই স্বামীর দোষ। তাঁর উপর অত্যাচার করা হত। বাড়িতে কাজ করানো হত বেশি করে। তার প্রতিবাদ করার জন্য মারধর খেতে হয়েছে। স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে অস্বীকার করার অভিযোগ প্রসঙ্গে মহিলা জানান, তিনি বারণ করেননি। তবে তাঁকে ভালো খেতে দেওয়া হয় না। সেই কারণে শরীর ভালো নয়। তাই সন্তান ধারণে অসম্মতি জানিয়েছেন।
পুলিশের কাছে ওই মহিলা জানান, তিনি এই বিয়েতে থাকতে চান না। ডিভোর্স চান। সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ তিনি করবেন।