দুজনের ভালোবেসে বিয়ে। তাও প্রায় চার বছরের। তারপর বিয়েও হয়। বৈবাহিক জীবনও আড়াই বছরের। তবে এক শর্তের কারণে সেই বিয়ে এখন ভাঙার মুখে। কারণ, ইতিমধ্যেই স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। ঝগড়া এই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই ডিভোর্স চাইছেন।
ঘটনা হরিয়ানার পানিপথের। বিবাহ বিচ্ছেদের মূলে হল আমিষ খাওয়া। আসলে চার বছর প্রেম করার পর যুবক ও যুবতী সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা বিয়ে করবেন। বিয়ের আগে যুবক শর্ত দেন, তাঁর পরিবারের লোকজন কেউ আমিষ খান না। তাই বাড়িতে আমিষ খাওয়া চলবে না। মাছ-মাংস খেতে হলে বাইরে খেতে হবে। সেই শর্তে রাজিও হন যুবতী। কিন্তু বিয়ের আড়াই বছর পরে সেই শর্ত তিনি ভেঙে দেন। আর তাতেই সমস্যা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রায় চার-পাঁচ বছর ধরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয়। খুব ধুমধাম করে বিয়ে হয়। বেশ সুখেই সংসার করছিলেন তাঁরা। এক সন্তানও আছে। শর্ত মতো, স্বামীর সঙ্গে বাইরে নন-ভেজ খেতেন স্ত্রী। কিন্তু তারপর তিনি বাড়িতেই চিকেন-মাটন খেতে শুরু করে দেন। কারণ হিসেবে যুবতী জানান, বাইরের নন ভেজ তাঁর আর ভালো লাগছে না।
এদিকে স্ত্রী সেই শর্ত মানছে না দেখে স্বামী তাকে বাধা দিতে শুরু করেন। দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। ২০২২ সালে মহিলা তার বাবা-মায়ের বাড়িতে চলে যায়। এরপর ডিভোর্সের মামলা করেন। কিন্তু ওই মহিলার শাশুড়ি, নারী সুরক্ষা ও বাল্যবিবাহ দফতরের কর্মকর্তার শরণাপন্ন হন। ছেলের বিয়ে ভাঙা ঠেকাতে আবেদন জানান। তখন ওই অফিসার স্বামী-স্ত্রীকে ডাকেন।
এদিকে ওই মহিলা সরকারি আধিকারিককে জানান, টাকার অভাবে সে বাড়িতেই আমিষ রান্না শুরু করে। সে মাছ-মাংস খেতে অভ্যস্ত। এতদিন স্বামীর কারণে সে খেত না। বাইরে মাঝে মাঝে যেত। এখন অর্থনৈতিক কারণে সেটা আর হচ্ছে না। এদিকে যুবক জানায়, স্ত্রীর কারণেই সে নন-ভেজ খাওয়া শুরু করে। যদিও আগে মাটন-চিকেন খেতেন না। এদিকে সব দেখেশুনে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই কাউন্সেলিং করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।