নীতীশ কুমার কি মুখ্যমন্ত্রী হবেন?বিহারে দুই দফার ভোট শেষ। তারপরই একাধিক সংস্থা প্রকাশ করেছে এগজিট পোল। এক্সিস মাই ইন্ডিয়া এগজিট পোল বলছে, এ বারও বিহারে ক্ষমতা ধরে রাখবে শাসক এনডিএ জোট। তারা বেশ ভাল সংখ্যা নিয়েই আবার বিহারের মসনদে বসতে পারে। তবে প্রশ্ন হল, বিহারে এ বার ক্ষমতা দখল করলেও কি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে পারবেন নীতীশ কুমার? আসুন তার আগে একবার এগজিট পোলের ফলাফলের দিকে তাকানো যাক।
কী বলছে এগজিট পোল
এই এক্সিট পোল জানাচ্ছে, এ বার নীতীশ কুমারের জেডিইউ পেতে পারে ৫৬ থেকে ৬২টি সিট। ও দিকে বিজেপি পেতে পারে ৫২ থেকে ৫৬টি সিট। এনডিএ-এর এলজিপি (আরভি) ১১ থেকে ১৬টি, হ্যাম (এস) ২ থেকে ৩টি এবং আরএলএম ২ থেকে ৪টি আসন পেতে পারে। এক্ষেত্রে এনডিএ-এর মোট সিট সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ১২১ থেকে ১৪১।
তবে সবথেকে বড় চমক হল, এ বার লালু প্রসাদ যাদব এবং তেজস্বী যাদবের দল এককভাবে সবথেকে বেশি আসন পেতে পারে। তারা ৬৭ থেকে ৭৬টি আসন পেতে পারে বলে মনে করছে এই সমীক্ষা।
ওদিকে মহাগঠবন্ধনের কংগ্রেস পেতে পারে ১৭ থেকে ২১টি সিট। সিপিআই, সিপিআইএম, সিপিআইএমএল মিলিয়ে পেতে পারে ১০ থেকে ১৪ সিট। এক্ষেত্রে মহাগঠবন্ধের পাওয়ার আশা রয়েছে ৯৮ থেকে ১১৮টি সিট।
আর এই পরিসংখ্যান দেখে এটা পরিষ্কার যে এ বারও বিহারের ক্ষমতা দখলের লড়াইতে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। কিন্তু তাদের দারুণ টক্কর দিচ্ছে বিরোধী জোট। এমনকী একক দল হিসাবে সবথেকে বেশি আসন পেতে পারে তেজস্বীর আরজেডি। আর এটা অবশ্যই এনডিএ-এর কাছে আগামিদিনে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার কি বসছেন নীতীশ?
এই নিয়ে নানা মুণির নানা মত। একদল মনে করছে, এ বার ক্ষমতায় এলে এনডিএ-এর হয়ে বিহার সামলাবেন নীতীশ কুমার। আর সেই কথাটা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তাঁর কথার যে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, এটা আর আলাদা করে বলতে হবে না নিশ্চয়ই। তাই এটা ধরেই নেওয়া যায় যে এ বার এনডিও জিতলে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন নীতীশ।
আবার বিশেষজ্ঞদের অপর একটি দল অন্য কথা বলছে। তাদের মতে, রাজনীতি হল সম্ভাবনার খেলা। সেক্ষেত্রে যদি বিজেপি দেখতে পায় যে নীতীশের জনপ্রিয়তা কমছে, তাহলে তারা অন্য চাল দিতে পারে। তারা প্রাথমিক ভাবে নীতীশকে সামনে রাখলেও, পরে অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে পারে। এমনকী প্রয়োজন হলে প্রথম থেকেই অন্য খেলা খেলতে পারে। সেটা অবশ্যই নীতীশের জন্য় ভাল হবে না।
তাই বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা ফল বেরনো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলছেন। তারপরই সবকিছু ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তারা।
তবে পরিশেষে একটা বিষয় পরিষ্কার যে এ বারের বুথ ফেরত সমীক্ষার ভবিষদ্বাণী যদি সত্যি হয়, তাহলে বিহারে নতুন করে স্বপ্ন দেখতেই পারে আরজেডি। এমনকী আগামিদিনে তেজস্বীর মসনদে বসারও সম্ভাবনা উজ্জ্বল।