scorecardresearch
 

Woman : স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে সহবাসে গর্ভবতী যুবতী, তারপর যা হল...

প্রেমিকের সন্তান পেটে ধরল যুবতী। । ঘটনা এই পর্যায়ে পৌঁছয় যে থানার দ্বারস্থ হতে হয় যুবতীকে।ওই যুবতীর নাম আঁচল কুমারী। তিনি প্রথমে এক যুবককে বিয়ে করেন।

Advertisement
Pregnant Woman Pregnant Woman
হাইলাইটস
  • প্রেমিকের সন্তান পেটে ধরল যুবতী
  • আর তার পরের ঘটনা মারাত্মক

প্রেমিকের সন্তান পেটে ধরল যুবতী। আর তার পরের ঘটনা মারাত্মক। ঘটনা এই পর্যায়ে পৌঁছয় যে থানার দ্বারস্থ হতে হয় যুবতীকে। পুলিশও ঘটনার অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এখন সেই যুবতীর অবস্থাও শোচনীয়। ঘটনা বিহারের মুজফফরপুরের। 

ওই যুবতীর নাম আঁচল কুমারী। তিনি প্রথমে এক যুবককে বিয়ে করেন। সেই যুবকের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়লেও প্রেমিকের সঙ্গে সস্পর্ক ভাঙেননি তিনি। এতে দুই পরিবারের অশান্তি হয়। এরপর যুবতী প্রথম স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিককে বিয়ে করেন।  এদিকে সেই প্রেমিকের বাড়ি আসতেই অশান্তি শুরু হয়। ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তখন তিনি। তবে তখনও অত্যাচার কমেনি। ১৯ ডিসেম্বর তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় শ্বশুরবাড়ির লোক। স্বামী, শাশুড়ি, শ্বশুর, শ্যালক ও বোনের বিরুদ্ধে মামলা করেন যুবতী। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 

নির্যাতিতা তার স্বামী, শাশুড়ি, শ্বশুর, শ্যালিকা ও ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। তিনি তিরহুত রেঞ্জ আইজি অফিসে ও পরে ডিএসপি উমেশ্বর চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে দোষীদের শাস্তির আবেদন জানান। ডিএসপি এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মহিলা থানা প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন। 

আরও পড়ুন

সিওয়াই পট্টি থানা এলাকার বাসিন্দা আঁচল কুমারী। বাবা-মায়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ১৭ এপ্রিল ২০২৩ শে প্রথম স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিক গুড্ডু কুমারকে আদালতে সাক্ষী রেখে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই তার ওপর অত্যাচার শুরু হয়। তার স্বামী শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পান। তা জেনেও বন্ধ হয়নি অত্যাচার। বরং ৮ মাসে আরও বেড়ে যায় নির্যাতন। স্বামী ও তার পরিবার আঁচলকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আঁচল তার স্বামী গুড্ডু কুমার, শ্বশুর পুলিশ রাই, শাশুড়ি গানৌরি দেবী, ভগ্নিপতি কবিতা দেবী এবং ভগ্নিপতি গুদিয়ার বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের করেছেন।

Advertisement

নির্যাতিতা জানায়, ১৮ ডিসেম্বর থানায় অভিযোগ দায়েক করার পরও পুলিশ তাকে বুঝিয়ে শ্বশুর বাড়িতে ফেরত পাঠায়। কিন্তু ১৯ ডিসেম্বর রাতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে এবং বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ২০ ডিসেম্বর তারা পুনরায় মারধর করে। এরপরই বিচারের দাবিতে আইজি অফিসে যায় মহিলা। এএসপি উমেশ্বর চৌধুরী জানান, মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। 


  

 

Advertisement