scorecardresearch
 

Women Reservation Bill: সনিয়া বললেন, 'আমার জীবনসঙ্গী রাজীব গান্ধী...', পাল্টা BJP, '২০১০-এ তো কলার ধরতে যাচ্ছিলেন'

কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী পার্লামেন্টে মহিলা সংরক্ষণ নিয়ে বলেছেন যে রাজীব গান্ধীর স্বপ্ন এখনও অর্ধেক পূরণ হয়েছে। এই বিল পাশ হলে তা পূরণ হবে। কংগ্রেস এই বিলকে সমর্থন করে। এই বিল পাশ হওয়ায় আমরা খুশি।

Advertisement
মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে কৃতিত্ব দাবি সনিয়ার, পাল্টা জবাব BJP এমপির মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে কৃতিত্ব দাবি সনিয়ার, পাল্টা জবাব BJP এমপির

কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী পার্লামেন্টে মহিলা সংরক্ষণ নিয়ে বলেছেন যে রাজীব গান্ধীর স্বপ্ন এখনও অর্ধেক পূরণ হয়েছে। এই বিল পাশ হলে তা পূরণ হবে। কংগ্রেস এই বিলকে সমর্থন করে। এই বিল পাশ হওয়ায় আমরা খুশি।

সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে আলোচনায়  কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন যে স্থানীয় সংস্থায় মহিলাদের অংশগ্রহণ নির্ধারণের জন্য প্রথমবারের মতো সংশোধনী এনেছিলেন আমার জীবনসঙ্গী  রাজীব গান্ধী, যা রাজ্যসভায় ৭ ভোটে পরাজিত হয়েছিল। সনিয়া গান্ধী আরও বলেন, "পরে প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাও-এর নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকার এটি পাস করেছে। আজ ফলাফল হল দেশের স্থানীয় সংস্থাগুলির মাধ্যমে ১৫ লক্ষ নির্বাচিত মহিলা নেত্রী রয়েছে।" কংগ্রেস নেত্রী বলেন, "রাজীব গান্ধীর স্বপ্ন এখনও পর্যন্ত অর্ধেক পূরণ হয়েছে। এই বিল পাশ হলেই তা পূরণ হবে। কংগ্রেস এই বিলটিকে সমর্থন করে। এই বিল পাস হওয়ায় আমরা খুশি।"

সনিয়া গান্ধী তার বক্তৃতায় বলেন, ভারতীয় নারীরা সবার কল্যাণে কাজ করেছেন। একজন মহিলার ধৈর্য অনুমান করা খুব কঠিন কাজ। ভারতীয় মহিলারা কখনও অভিযোগ করেননি। নারীর ধৈর্য আছে সাগরের মতো। প্রসঙ্গত, এই বিল সরকার পেশ করলেও কোথাও না কোথাও কংগ্রেস এর কৃতিত্ব নিতে চাইছে। সোনিয়া তার বক্তব্যে এ কথাও উল্লেখ করেন। 

আরও পড়ুন

অবিলম্বে বিলটি কার্যকর করতে হবে
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন যে এই বিল অবিলম্বে কার্যকর করা উচিত। এই বিল আনতে বিলম্ব হলে তা নারীদের প্রতি অবিচারের কারণ হবে। তিনি বলেন, এই বিলটি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী এনেছিলেন। সেই সময় এই বিল রাজ্যসভায় সাত ভোটে ব্যর্থ হয়েছিল। এই বিলটি ছিল রাজীব গান্ধীর স্বপ্ন। পরে প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাওয়ের নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকার এটি পাস করে। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে আমাদের ১৫ লাখ নির্বাচিত নারী নেত্রী রয়েছে। 

Advertisement

সরকারের কাছে এ প্রশ্ন করেন সনিয়া
সনিয়া গান্ধী বলেন, কংগ্রেস পার্টি এই বিলকে সমর্থন করে। এই বিল পাস হওয়ায় আমরা খুশি। তবে এর পাশাপাশি একটি উদ্বেগও রয়েছে। আমি একটি প্রশ্ন করতে চাই।  ভারতীয় মহিলারা গত ১৩ বছর ধরে তাদের রাজনৈতিক দায়িত্বের অপেক্ষায় ছিলেন। এখন তাদের আরও কয়েক বছর অপেক্ষা করতে বলা হচ্ছে। তাদের কত বছর অপেক্ষা করতে হবে, এক, দুই, চার বা আট বছর, সব শেষে তাদের কত অপেক্ষা করতে হবে। ভারতীয় মহিলাদের প্রতি এই আচরণ কি উপযুক্ত? 

SC/ST/OBC মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের দাবির বিষয়টিও উত্থাপিত হয়েছে
সোনিয়া আরও বলেন, কংগ্রেস দাবি করছে এই বিলটি কার্যকর করা হোক। তবে এর পাশাপাশি জাতিশুমারি করে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি মহিলাদেরও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারকে এ পদক্ষেপ নিতে যা যা প্রয়োজন তা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমি দাবি করছি মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ আইন  যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর করা হোক। 

  মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে লোকসভায় বিতর্কের সময় সনিয়া গান্ধী বলেন যে তাঁর দল সম্পূর্ণরূপে এই বিলের সঙ্গে রয়েছে। রাজীব গান্ধী  স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং এই বিল বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন। কংগ্রেসের প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হয়েছে কিন্তু তিনি এটাও বলেন যে কেন সরকার তা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করছে না, কেন সীমাবদ্ধতার সুর তোলা হচ্ছে। এই বিল যদি বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে গত ১৩ বছর ধরে নারীদের ওপর যে অবিচার হচ্ছে, তা কীভাবে বন্ধ হবে? মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে লোকসভায় সোনিয়া গান্ধীর ভাষণের পর বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। 

কী বললেন নিশিকান্ত দুবে
বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেছেন যে কংগ্রেস দলের দ্বৈত চরিত্র রয়েছে। ২০১০ সালে সংসদে যখন হট্টগোল হয়েছিল, তখন কে যশবীর সিংয়ের কলার ধরেছিল? তিনি বলেন যে আজ যখন মহিলা সংরক্ষণ বিল কার্যকর হতে চলেছে, তখন কৃতিত্ব নেওয়ার দৌড় চলছে। কোনো ধরনের অভিযোগ বা কৃতিত্ব নেওয়ার আগে কংগ্রেস নেতাদের তাদের ইতিহাস দেখা উচিত।

বিলের কৃতিত্ব কংগ্রেসের নেওয়া উচিত নয়: নিশিকান্ত দুবে
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই) নেত্রী গীতা মুখোপাধ্যায় এবং বিজেপি সাংসদ সুষমা স্বরাজ এই বিলের পক্ষে লড়াই করেছিলেন। এই ইস্যুতে কৃতিত্ব নিতে চান কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এত বছর বিল আনেনি কংগ্রেস। এখন যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিল নিয়ে আসেন তাহলে তাদের (বিরোধীদের) পেটে ব্যথা হচ্ছে।

Advertisement