Bihar Vote: 'বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা নিয়ে বিলিয়েছে', বিহার ভোট নিয়ে বিস্ফোরক দাবি PK-র দলের

বিহার ভোট শেষ হতেই বিস্ফোরক অভিযোগ আনল প্রশান্ত কিশোরের দল জন-সুরজ। তাদের দাবি, উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে ১৪,০০০ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছিল। সেই টাকা দিয়ে ভোটের আগে মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নগদ অনুদান পাঠানো হয়েছে।

Advertisement
'বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা নিয়ে বিলিয়েছে', বিহার ভোট নিয়ে বিস্ফোরক দাবি PK-র দলের'বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা নিয়ে মহিলাদের বিলিয়েছে', বিস্ফোরক দাবি PK-র দলের।
হাইলাইটস
  • বিহার ভোট শেষ হতেই বিস্ফোরক অভিযোগ আনল প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরজ।
  • তাদের দাবি, উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে ১৪,০০০ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছিল।
  • নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার উদ্দেশেই এমনটা করা হয়েছে বলে অভিযোগ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের।

বিহার ভোট শেষ হতেই বিস্ফোরক অভিযোগ আনল প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরজ। তাদের দাবি, উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে ১৪,০০০ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছিল। সেই টাকা দিয়ে ভোটের আগে মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নগদ অনুদান পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার উদ্দেশেই এমনটা করা হয়েছে বলে অভিযোগ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তের দাবি তুলেছে জন সুরজ।

দলের জাতীয় সভাপতি উদয় সিং শনিবার সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, 'এই নির্বাচনের ফলাফল কার্যত কেনা হয়েছে। ভোটের আগে ২১ জুন থেকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত প্রায় ৪০,০০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। সরকারি টাকায় ভোট কেনার চেষ্টা হয়েছে। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, বিশ্বব্যাঙ্কের অনুদান থেকেই ১.২৫ কোটি মহিলার অ্যাকাউন্টে ১০,০০০ টাকা করে পাঠানো হয়েছে।'

বিহার সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনা প্রজেক্টের নামেই টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে বলে দাবি দলের। বিশ্লেষকদের মতে, এই ক্যাশ ট্রান্সফারের প্রভাব নির্বাচন ফলাফলে বড় ভূমিকা নিয়েছে। NDA জোট ফের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় ফিরেছে। বিজেপি পেয়েছে ৮৯টি আসন, জেডিইউ ৮৫টি। অন্যদিকে প্রশান্ত কিশোরের নতুন দল ২৩৮টি আসনে লড়লেও, একটি আসনও জিততে পারেনি।

জন-সুরাজ নেতা পবন বর্মা জানান, 'আমাদের তথ্য অনুযায়ী মোট ২১,০০০ কোটি টাকার মধ্যে ১৪,০০০ কোটি টাকা ভোটের আগে তোলা হয়। ভোটের আচরণবিধি জারি হওয়ার মুহূর্তের ঠিক এক ঘণ্টা আগে সেই টাকা সরকারি খাত থেকে তোলা হয়েছে।' তাঁর প্রশ্ন, “আইনগতভাবে ব্যাখ্যা মিললেও, নৈতিকতার প্রশ্ন কি এভাবে উড়িয়ে দেওয়া যায়?'

দলের দাবি, এই বিপুল টাকার বহির্গমনের ফলে রাজ্যের আর্থিক সংকট আরও বাড়বে। ইতিমধ্যেই বিহারের ঋণের পরিমাণ ৪.০৬ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে, দৈনিক সুদের বোঝা ৬৩ কোটি। বর্মার কথায়, 'রাজ্যের কোষাগার কার্যত খালি।'

আগামিদিনে এই বিষয় জাতীয় রাজনীতিতে বড় আলোচনার সৃষ্টি করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement