২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য ইউপি বোর্ড এবং সিবিএসই বোর্ডের পাঠ্যক্রম নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। স্কুলের ছাত্রদের আর মুঘল ইতিহাস পড়ানো হবে না। ২০২২ সালের জুনে NCERT-র পাঠ্যক্রম মুঘল ইতিহাস, ঠান্ডা যুদ্ধের মতো অধ্যায়গুলি বাদ দেওয়া হয়েছিল। ইউপি বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাজ্যে এনসিইআরটি বই এবং সিলেবাস মেনে চলবে। সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে, আজ অথবা এ মস থেকে নতুন করে কোনও অধ্যায় বাদ দেওয়া হয়নি। এর আগে খবর মিলেছিল যে ইউপি সরকার ইতিহাসের বই 'ভারতীয় ইতিহাসের কিছু বিষয়' থেকে শাসক এবং মুঘল দরবারের অধ্যায়গুলি সরিয়ে দিয়েছে। এছাড়া একাদশের বই থেকে ইসলামের উত্থান, সংস্কৃতির সংঘর্ষ, শিল্প বিপ্লব পাঠ শুরু করার কথাও বলা হয়েছে।
এই পদক্ষেপ নিয়ে ইউপির উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রিজেশ পাঠক বলেছেন, 'সংস্কৃত আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। নতুন প্রজন্মকে ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। আগে আমাদের সংস্কৃতি থেকে পড়ুয়াদের বঞ্চিত করা হয়েছিল। জানতে দেওয়া হত না। দেশের প্রকৃত সংস্কৃতি এবার তুলে ধরা হবে।'
দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাসের বই থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, 'আকবরনামা' (আকবরের রাজত্বের ইতিহাস) এবং 'বাদশাহনামা' (মুঘল সম্রাট শাহজাহানের ইতিহাস)। এ ছাড়া নাগরিক বিজ্ঞানের বইতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। গণআন্দোলনের উত্থান এবং এক দলের আধিপত্যের সময়কালের অধ্যায়টিও স্বাধীন ভারতে রাজনীতি বই থেকে পরিবর্তিত হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তে এসপি বিধায়ক প্রাক্তন মাধ্যমিক শিক্ষামন্ত্রী নবাব ইকবাল মাহমুদ জানিয়েছেন,'ইউপি এবং সিবিএসই বোর্ড ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সিলেবাস থেকে মুঘল দরবারের ইতিহাস সরিয়ে দিয়েছে। বাদ দেওয়া হয়এছে ইসলামের উত্থান, সংস্কৃতির সংঘর্ষ এবং শিল্প বিপ্লবের মতো পাঠগুলিও।' তাঁর কথায়,'বিজেপি সরকার মুসলিমদের বিরুদ্ধে যা কিছু করতে পারে, সব চেষ্টা করে চলেছে। তবে মুঘল শাসন কেবল উত্তর প্রদেশ থেকে সরিয়ে দিয়েই থামবে না। এই ইতিহাস শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বের, ভারতকে উন্নতির পথে নিয়ে গিয়েছিল মুঘলরা।'
আরও পড়ুন- শাস্তি থেকে রেহাই মিলল না,তবে জামিন পেলেন রাহুল
তাঁর কথায়,'এই সরকারের কাছ থেকে এর থেকে ভালো কিছু আশা করি না। এসব দেখে কিছু মুসলিমরা দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছে। তাজমহল, লালকেল্লা এবং কুতুব মিনারের ইতিহাস কেবল ভারতে সীমাবদ্ধ নয়, সারা বিশ্বে রয়েছে। কারণ সারা বিশ্ব থেকে যে কোনও পর্যটক যখন ভারতে আসেন, তিনি তাজমহল, লালকেল্লা এবং আগ্রা সম্পর্কে জানতে চান।'