হাসপাতালের নিরাপত্তায় ১,৫১৪ জন চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে রাজ্য। এদিকে সুপ্রিম কোর্টে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন তুললেন চিকিৎসকদের পক্ষের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। কনট্র্যাক্টচুয়াল নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতিও।
হাসপাতালে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সম্পর্কে এদিন রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, 'নিরাপত্তার জন্য আমাদের আলাদা ক্যাডার রয়েছে - 'রথি মেরে সাথী'। এর প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি পাল্টা জানতে চান, 'অভিযুক্তও চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছিল, এই চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ৭ দিনের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং তারপর তারা হাসপাতাল জুড়ে ঘুরে বেড়াবে, আপনি কিভাবে এঁদের দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন? অপরাধে অভিযুক্তও একজন ভলান্টিয়ার ছিল। সরকার বলছে যে, এই কর্মীরা আউটসোর্সিং এজেন্সি দিয়ে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু তাঁদের নিয়োগের সময় কোনও মনস্তাত্ত্বিক মূল্যায়ন কি করা হবে?'
কপিল সিব্বল উত্তরে বলেন, 'সমস্ত যাচাইকরণ করা হচ্ছে।' তাই শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'সমস্যাটাই হল যখন চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের উপর ভরসা করা নিয়ে, তাহলে সরকার কেন এটা নিয়ে আসছে?'
কপিল সিব্বল তখন বলেন, 'রাজ্যের উপর ভরসা রাখতে হবে। CISF-ও আছে।'
প্রধান বিচারপতি বলেন, 'CISF আপাতত সাময়িকভাবে আছে। ওঁরা আমাদের আদেশেই সেখানে রয়েছে। আমরা পশ্চিমবঙ্গের ২৮টি সরকারি হাসপাতাল এবং ১৭টি হাসপাতাল নিয়ে উদ্বিগ্ন। মোট ৪৫টি হাসপাতাল। আমরা সরকারি হাসপাতাল নিয়ে কাজ করছি, তরুণী ডাক্তার, ১৮-২৩ বছরের মহিলারা এখানে কাজ করতে আসেন। আমরা তাঁদের নিয়ে কাজ করছি, সেখানে একটি চুক্তিভিত্তিক কর্মী বাহিনী থাকবে... এটা একটি সম্পূর্ণ অসুরক্ষিত একটা বিষয়। এই বিষয়ে আপনার কী বলার আছে?' উত্তরে কপিল সিব্বল জানান, 'তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।'