Youtuber Jyoti Malhotra: ভারতীয় গোয়েন্দাদের চিনতে জ্যোতিকে ব্যবহার করছিল ISI, তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে ঘিরে জোরালো হচ্ছে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ। জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA), গোয়েন্দা ব্যুরো (IB) ও হরিয়ানা পুলিশের যৌথ তদন্তে উঠে এসেছে এমনই বিস্ফোরক তথ্য। সূত্রের দাবি, জ্যোতিকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ভারতীয় গোপন এজেন্টদের শনাক্ত করতে সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করছিল।

Advertisement
ভারতীয় গোয়েন্দাদের চিনতে জ্যোতিকে ব্যবহার করছিল ISI, তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
হাইলাইটস
  • হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে ঘিরে জোরালো হচ্ছে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ।
  • জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA), গোয়েন্দা ব্যুরো (IB) ও হরিয়ানা পুলিশের যৌথ তদন্তে উঠে এসেছে এমনই বিস্ফোরক তথ্য।

হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে ঘিরে জোরালো হচ্ছে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ। জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA), গোয়েন্দা ব্যুরো (IB) ও হরিয়ানা পুলিশের যৌথ তদন্তে উঠে এসেছে এমনই বিস্ফোরক তথ্য। সূত্রের দাবি, জ্যোতিকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ভারতীয় গোপন এজেন্টদের শনাক্ত করতে সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করছিল।

বর্তমানে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে থাকা মালহোত্রা ও আইএসআই হ্যান্ডলার আলি হাসানের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে দেখা গিয়েছে কোডেড কথোপকথনের মাধ্যমেই ভারতীয় গোপন অপারেটিভদের তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছিল। একটি চ্যাট বার্তায় হাসান জ্যোতিকে জিজ্ঞেস করেন—'আপনি যখন আটারি সীমান্তে ছিলেন, তখন কে প্রোটোকল পেয়েছিলেন?' এই প্রশ্ন থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধছে যে, প্রোটোকলের ভিত্তিতে এজেন্ট চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছিল।

জবাবে মালহোত্রা বলে, 'তারা এত বোকা ছিল না।' তদন্তকারীদের মতে, 'প্রোটোকল', 'আন্ডারকভার এজেন্ট' ইত্যাদি শব্দের ব্যবহার ইঙ্গিত দেয় এটি কোনও সাধারণ পর্যটক-সাংবাদিকের কথোপকথন নয়, বরং একটি পরিকল্পিত গোয়েন্দা কার্যকলাপের অংশ।

জানা গেছে, ২০২৩ সালে বৈশাখী উৎসবে পাকিস্তান সফর করে প্রথমবার সীমান্ত সংযোগ তৈরি করে জ্যোতি। এরপর থেকেই পাকিস্তানি হাই কমিশনের কর্মকর্তা এহসান দার ওরফে দানিশের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। দানিশকে সম্প্রতি ১৩ মে ভারত সরকার ‘persona non grata’ হিসেবে ঘোষণা করে বহিষ্কার করেছে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শুরুতে জ্যোতি দানিশের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করে। কিন্তু ফোন পরীক্ষা করে দেখা যায়, সে দানিশের সঙ্গে করা দুটি চ্যাট মুছে ফেলেছে, যা সন্দেহ আরও বাড়িয়ে তোলে।

প্রমাণ মিলেছে, এই চ্যাটগুলিতে ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য আদানপ্রদান হতে পারে। ফলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এখন নির্ধারণে ব্যস্ত, জ্যোতি মালহোত্রা কী জেনেশুনেই পাকিস্তানকে সহায়তা করেছে, নাকি তিনি বৃহত্তর একটি প্রোপাগান্ডা মডিউলে মিসইউজড হয়েছেন।

উল্লেখযোগ্যভাবে, সম্প্রতি ২২ এপ্রিল পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পরে মালহোত্রার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির দোষারোপ করা হয়েছিল। এটিও এখন তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।

Advertisement

এই গোটা ঘটনা সামনে আসার পর প্রশ্ন উঠছে—সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবশালীদের মাধ্যমে কীভাবে আইএসআই ভারতে নিজেদের গুপ্তচর জাল বিস্তার করছে? এবং সেই নেটওয়ার্কে মালহোত্রার ভূমিকা কতটা গভীর? তদন্ত চলছে।

 

POST A COMMENT
Advertisement