জুবিন গর্গের মৃত্যুর ঘটনার অভিযুক্তদের কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িতে হামলা গায়কের ফ্যানদের। যা নিয়ে উত্তাল অসম। অভিযুক্তদের বকসা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখনই হামলা চালানো হয় গাড়িতে। অগ্নিসংযোগ করা হয়। বিক্ষুব্ধদের দাবি, অভিযুক্তদের তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। তারাই শাস্তি দেবে।
এদিন অভিযুক্তদের নিয়ে সেই গাড়িটি কারাগার চত্বরে যাওয়ার সময়ই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে অনেকে। অভিযুক্তদের কনভয় যাওয়া মাত্র পাথর ছুড়তে শুরু করে বিক্ষুব্ধরা। তখনই বহু পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়। হামলার জেরে একটি পুলিশ ভ্যান সহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শূন্যে গুলি চালাতে শুরু করে। বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেলও ফাটানো হয়। তার জেরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ধেয়ে আসে সাধারণ মানুষ।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, উত্তেজনা থামাতে এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সেজন্য বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বুধবার এই মামলায় ৫ অভিযুক্তকে গুয়াহাটি স্থানীয় আদালতে তোলা হয়। আদালতের তরফে অভিযুক্তদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। অসম সরকারের পক্ষে আইনজীবী প্রদীপ কোনওয়ার জানান, “পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আদালতের নির্দেশে তাদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।” শুনানির সময় কোনও অভিযুক্তের পক্ষেই আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, জুবিনের মৃত্যু মামলার তদন্ত করছে SIT। তাদের তরফে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল অভিযুক্তদের। তারপরই গ্রেফতার করা হয়েছিল। জুবিনের স্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, গায়ককে সম্পূর্ণ না জানিয়ে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।