অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যের জনগণের উদ্দেশে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, 'প্রয়াত সঙ্গীত কিংবদন্তি জুবিন গর্গের মৃত্যুর মামলায় যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারেন, তবে ২০২৬ সালের নির্বাচনে তাঁকে ভোট না দেওয়ার অধিকার জনগণের আছে।'
শুক্রবার এক লাইভ কথোপকথনে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, 'যেদিন আমি জুবিনকে ন্যায়বিচার দিতে ব্যর্থ হব, জনগণ আমাকে শাস্তি দিতে পারে। আমরা যদি ন্যায়বিচার না দিতে পারি, তাহলে ২০২৬ সালে মানুষ কেন আমাদের ভোট দেবে?'
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৬ বছর আগেই তিনি সতর্ক করেছিলেন যে, জুবিনকে ঘিরে থাকা কিছু মানুষ তাঁকে ভুল পথে চালিত করছে। প্রয়াত শিল্পীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, জুবিনকে তিনি ভূপেন হাজারিকা, বিষ্ণু প্রসাদ রাভা ও জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালের মতোই 'জাতীয় সম্পদ' মনে করেন।
তদন্ত প্রসঙ্গে হিমন্ত জানান, সিদ্ধার্থ শর্মা এবং শ্যামকানু মহন্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই লুক আউট নোটিশ জারি হয়েছে। পাশাপাশি, সিঙ্গাপুরে বসবাসকারী আটজন এনআরআইকেও অসমের সিআইডি দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কঠোর সতর্কবার্তায় তিনি বলেন, 'আমরা ৬ অক্টোবর অসমে শ্যামকানু মহন্ত ও সিদ্ধার্থ শর্মাকে চাই। ফেসবুক লাইভ বা চিঠি পাঠিয়ে দায় এড়াতে পারবেন না। যদি নির্দোষ হন, আদালতে গিয়ে প্রমাণ করুন।'
এছাড়াও শ্যামকানু মহন্ত এবং তাঁর সংস্থাগুলিকে অসমে কোনও সাংস্কৃতিক বা জনসমাবেশ আয়োজন থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, আইন নিজের গতিতে চলবে এবং অসমের জনগণ এই মামলায় ন্যায়বিচার পাবে।