২৮শে সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার ১২৬তম 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে প্রয়াত অসমীয়া গায়ক জুবীন গর্গকে আবেগঘন শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রী জুবিনকে 'কোহিনূর, অসমীয়া সংস্কৃতির উজ্জ্বলতম রত্ন' হিসেবে অভিহিত করেন। এবং নিশ্চিত করেন যে, তাঁর সঙ্গীত ও চেতনা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বেঁচে থাকবে।
মোদী উল্লেখ করেন, ১৯শে সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় জুবিনের অকাল মৃত্যু সত্ত্বেও, তাঁর সঙ্গীতিক উত্তরাধিকার সকল অসমীয়ার হৃদয়ে এবং সমগ্র ভারতের ভক্তদের মধ্যে জীবন্ত থাকবে। তিনি বলেন, 'জুবীন শারীরিকভাবে আমাদের সঙ্গে নেই, তবে সর্বদা আমাদের হৃদয়ে আমাদের সঙ্গে থাকবেন।'
শ্রদ্ধাঞ্জলিতে জুবিনের অসমীয়া সংস্কৃতির সঙ্গে গভীর সংযোগ এবং ভারতীয় সঙ্গীত জগতে তার উল্লেখযোগ্য অবদান তুলে ধরা হয়। প্রধানমন্ত্রী গায়কের বহুমুখী প্রতিভা ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডকেও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি গর্গকে কেবল একজন শিল্পী নয়, বরং একজন সাংস্কৃতিক আইকন হিসেবে স্বীকৃতি দেন, যিনি অসমের সীমানা অতিক্রম করে সমগ্র দেশে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
মন কি বাত পর্বে প্রধানমন্ত্রী শহিদ ভগত সিং সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদেরও স্মরণ করেন এবং তাঁদের অবদানের প্রশংসা করেন। এছাড়াও তিনি কিংবদন্তি প্লেব্যাক গায়িকা লতা মঙ্গেশকরকে ভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতিতে তার অমূল্য অবদানের জন্য সম্মানিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বৃদ্ধির উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন। বিশেষত ছট পূজা ও অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী উৎসবের জন্য ইউনেস্কোর স্বীকৃতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভারতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার গুরুত্ব তিনি ব্যাখ্যা করেন।
এই অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং দেশপ্রেম একত্রিত হয়ে জুবীন গর্গের স্মৃতিকে আবেগঘন কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে উপস্থাপন করে। প্রয়াত শিল্পীর 'মায়াবিনী' সহ অসংখ্য হিট গান এবং সমাজকল্যাণমূলক কাজের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানকে বিশেষ করে তোলে।