আরও এক অযোধ্যা তৈরি হতে চলেছে কি? এবার এই মসজিদ চত্বরে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি স্থাপন করে পুজো করার ক্ষেত্রে হয়তো আর কোনও বাধা থাকবে না। যেদিকে আদালতের রায় এগোচ্ছে, অন্তত সেই রকমই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। ওজুখানা,তহখানাসহ মসজিদের ভিতরে পশ্চিমের দেওয়ালে হিন্দু দেবতার মূর্তির অস্তিত্ব রয়েছে বলে দাবি । দেখতে গেলে অযোধ্যার পথে এগোচ্ছে। নবরাত্রীতে মসজিত চত্বরে পুজো করার আবেদন করে আদালতে একটি মামলা করেন 5 হিন্দু মহিলা। কিন্তু এই দাবিতেই বেজায় আপত্তি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের। কারণ মসজিদ চত্বরে পুজো করাটা তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না। তাই ওই 5 হিন্দু মহিলা যাতে এই মামলা আদালতে এগিয়ে নিয়ে যেতে না পারেন, তার জন্য পাল্টা মামলা করেছিল মুসলিম সম্প্রদায়ের একদল মানুষ। কিন্তু তাতে লাভের লাভ হল না। মুসলিম সম্প্রদায়ের মামলা খারিজ করে দেয় আদালত। ফলে হিন্দুদের মামলা এগিয়ে নিয়ে যেতে এবার আর কোনও বাধা রইল না। অর্থাৎ আরও এক অযোধ্যা তৈরি হতে চলেছে কি, সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে এত কাণ্ড কোন মসজিতকে নিয়ে হয়েছে। তা হল জ্ঞানব্যাপী মসজিদ । ওই মসজিদে 5 হিন্দু মহিলা নবরাত্রি উপলক্ষে পুজো করার জন্য এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল। এই মামলা যাতে তাঁরা এগিয়ে নিয়ে যেতে না পারে তার জন্য মুসলিম সম্প্রদায় পাল্টা মামলা করে। কিন্তু আদালতে তাদেরই মুখ পুড়ল। কারণ মুসলিম সম্প্রদায়ের করা ওই মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। আদালতের রায় যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে মনে করা হচ্ছে, এবার আর ওই চত্বরে হিন্দু দেবতাদের পুজো করার জন্য কোনও বাধা থাকবে না। 2021 সালের অগস্ট মাসে 5 হিন্দু মহিলা জ্ঞানব্যাপীর ওজুখানা,তহখানাসহ মসজিদের ভিতরে পশ্চিমের দেওয়ালে হিন্দু দেবতার মূর্তির অস্তিত্ব রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন। আর তাই বারাণসী দায়েরা আদালতে পুজো করার অনুমতি চেয়েছিল। এরপর দায়রা আদালত নির্দেশ দেয়, মসজিদের ভিডিওগ্রাফি করার। সেই কাজ শেষ হওয়ার পরেই গত 20 মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানির দায়িত্ব পায় বারাণসী জেলা আদালত। জ্ঞানব্যাপী মসজিদ কমিটির তরফে 5 হিন্দু মহিলার আবেদন খারিজ করার জন্য বারাণসী জেলা আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। মসজিদ কমিটির আইনজীবী অভয় নাথ বারাণসী জেলা আদালতে বলেন, 1991 সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষা আইন এবং 1995 সালের সেন্ট্রাল ওয়াকফ আইন অনুযায়ী, এই সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি হতে পারে না। অন্য দিকে, হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু জৈন এবং হরিশঙ্কর জৈনের দাবি ছিল, 1991 সালের ওই আইন জ্ঞানব্যাপীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তিনি জানান, 1947 সালের পরেও শৃঙ্গার গৌরীস্থলে পূজার্চনার প্রমাণ রয়েছে। অর্থাৎ এলাহাবাদ হাইকোর্ট বারাণসীর জেলা আদালতের রায়কে বহাল রাখল। পরবর্তীতে ঠিক কোন দিকে এই শুনানি এগোয়ে সেদিকে নজর থাকবে সকলের।
Gyanvapi Mosque verdict: Allahabad High Court junks Muslim side's plea.