Advertisement

Aurora dazzles skies in Ladakh: চোখ ধাঁধাঁনো আলোর ঝলকানি লাদাখে রাতের মহাকাশে!

এবার লাদাখের আকাশে দেখা মিলল অরোরার। কিন্তু কবে এবং কীভাবে তৈরি হল এই অরোরা বা রঙিন আলোর ঝলকানি? চলুন সেটাই জেনে নেবো। গত 22 এপ্রিল নাগাদ একটি ভূচৌম্বকীয় ঝড় আছড়ে পড়ে পৃথিবীতে। তাতেই তৈরি হয় ওই বিশেষ অরোরা বা রঙিন আলোর ঝলকানি। সেই দৃশ্যই ক্যামেরাবন্দী করে রেখেছিল ভারতীয় মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। যা এবার প্রকাশ্যে এল। মাউন্ট সরস্বতীর উপর থেকে ক্যামেরায় বন্দী করা হয়েছিল সেই দৃশ্য। বিজ্ঞানীদের কথায়, এটি একরকম বিরল দৃশ্য বললে ভুল বলা হয় না। কিন্তু কীভাবে এই আরোরা তৈরি হয় সেটা কী জানেন? সৌরঝড়ের ফলে প্লাজমা মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে। সেটি পৃথিবীতে এসে পৌঁছলে এগুলি পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র ও বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে। সেই কারণেই অণু-পরমাণুর সংঘর্ষে উজ্জ্বল আলোকবৃত্ত তৈরি হয়। ঠিক যেমনটা তৈরি হয় নিয়নের বাতিতে। বেশিরভাগ আরোরাতেই সবুজ ও গোলাপি রঙ দেখা যায়। কখনও নজরে পড়ে লাল বা বেগুনী রঙও। সাধারণত কানাডা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, গ্রিনল্যান্ড, রাশিয়া, আন্টার্টিকায় এই রঙের খেলা দেখা যায়। বিশেষ দৃশ্যটি তোলার জন্য 360 ডিগ্রি কোণে বিশেষ ক্যামেরাও বসিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। লাদাখ হানলের আকাশে যে আলোর ঝলকানি দেখা গিয়েছিল, তা সাধারণত উঁচু অক্ষাংশের আন্টার্টিকা এলাকায় দেখা যায়। এই নিয়ে টুইটারে বিস্তারিত লেখে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স। তাদের তরফে টুইট করে জানানো হয়, একটি জোরালো ভূচৌম্বকীয় ঝড় পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার কারণেই দেখা গিয়েছিল বিশেষ অরোরা বা আলোর খেলা। এই দিন লাদাখের আকাশে যে অরোরার দেখা মিলেছিল, তা এত নিচু অক্ষাংশে দেখা দেয় না। তাই এটা ভীষণভাবেই বিরল! জানা যায় এই সিএমই-এর গতিবেগ ছিল 500 থেকে 600 কিলোমিটার। বিজ্ঞানীদের কথায় এম1 গোত্রের সৌরঝড় ছিল এটি। ভারতীয় মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তরফে এমনটাই জানানো হয় অন্য একটি টুইটে। বিজ্ঞানীদের কথায়, এই দিন নিচু অক্ষাংশে অরোরার দেখা মিলেছিল বলে লাদাখের পাশাপাশি ইউরোপ ও চিন থেকেও দেখা যায় এই রঙিন আলোর খেলা।

Never-before-seen aurora dazzles skies in Ladakh as geomagnetic storm hits Earth.

Advertisement