দু'দিন পরই ক্রিসমাস। বিশ্বজুড়ে পালন করা হবে যিশুর জন্মদিন। সঠিক পথ দেখাতে যিশু এসেছিলেন পৃথিবীতে। যিশুর জীবন সম্পর্কিত কিছু আকর্ষণীয় তথ্য রয়েছে যা অনেকই জানে না। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই সব তথ্য।
যীশুর নামকরণ করেছিলেন এক দেবদূত অর্থাৎ অ্যাঞ্জেল। বাইবেলে উল্লেখ আছে, একদিন এক দেবদূত যীশুর মা মেরির কাছে গিয়ে বলেছিলেন, আপনি ঈশ্বরের বিশেষ অনুগ্রহ পেয়েছেন এবং তিনি আপনার সঙ্গেই আছেন। এই কথা শুনে ভয়ে বিচলিত হয়ে পড়েন মেরি। দেবদূত তখন তাঁকে আশ্বাস দেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আপনি এমন এক সন্তানের জন্ম দেবেন যাঁর নাম হবে যীশু। আর তাঁর রাজত্ব কখনই শেষ হবে না।
অনেকে মনে করেন যীশুর পদবি খ্রিস্ট। কিন্তু এটা একেবারেই ঠিক নয়। প্রথম শতাব্দীতে প্যালেস্তাইনে পদবি বলে কিছু ছিল না। বাবা-মায়ের নাম অনুযায়ী শিশুদের চিহ্নিত করা হত। খ্রিস্ট শব্দটি এসেছে গ্রীক খ্রিস্টোস থেকে। যাক অর্থ মশীহা।
২৫ ডিসেম্বর বিশ্ববাসী পালন করে যীশুদিবস হিসেবে। কিন্তু ২৫ ডিসেম্বর যীশুর জন্মদিন সঠিক কিনা সে সম্পর্কে সন্দেহ আছে। যীশুর জন্ম তারিখ সম্পর্কে অনেক পণ্ডিতদের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে। কয়েকজন বলেন যীশু শীতকালে নয় শরৎকালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
ম্যাথিউস গসপেল অনুসারে যিশু প্রথমদিকে ছুতোরের কাজ করতেন। ভাই জোসেফের কাছ থেকে এ কাজ শিখেছিলেন যীশু। পরে নগরীর লোকেরা তাকেও ছুতোর বলেই পরিচয় দেয়।
যদিও যীশুর শারীরিক কাঠামো সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য নেই, তবে বলা হয় তিনি খুবই সাধারণ দেখতে ছিলেন।
প্রথম শতাব্দীতে প্যালেস্তাইনে আরামাইক ভাষায় কথা বলা হয়েছিল। ম্যাথিউস গসপেল অনুাযায়ী যিশু অনেকরকম ভাষা জানতেন। আরামাইক, হিব্রু এবং গ্রীক সহ আরও অনেক ভাষার জ্ঞান ছিল তাঁর।
ম্যাথিউস গসপেল অনুসারে যিশু নিরামিষভোজী ছিলেন না। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে বাকী ইহুদিদের মতো তাঁরাও মাংস খেতেন। যিশু নিয়মিত মাছও খেতেন।