বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে এই দাবির মধ্যেই এখন অনেক ছবি সামনে এসেছে। আদালতের নির্দেশের পর, জরিপ দল যখন জ্ঞানবাপী মসজিদে গিয়েছিল, সেখানে তারা যা পেয়েছিল, তার ছবি আপনাদের দেখাব। হিন্দু-মুসলিম উভয় পক্ষের নিজস্ব দাবি রয়েছে, তবে সত্যতা বিচার করবে আদালত।
প্রথম ছবি- সাদা চুন দিয়ে আঁকা সিঁড়িতে হাঁটতে হাঁটতে ক্যামেরা যখন প্রথমবারের মতো জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে যায়, তখন কোর্ট কমিশনার এমন একটা জায়গায় পৌঁছন যেখানে গম্বুজের নিচে একটা গম্বুজ ছিল।
দ্বিতীয় ছবি - ওই দলটি মসজিদের প্রধান ৩টি গম্বুজের পাশে একটি ছোটো দরজা দিয়ে প্রবেশ করলে গম্বুজের নিচে ওই গম্বুজটি দেখতে পান। কার গম্বুজের নিচে গম্বুজ? কেন গম্বুজের উপরে গম্বুজ তৈরি করা হয়েছিল? মূল গম্বুজটি কি একটি বড় গম্বুজ দিয়ে লুকোনো হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি।
তৃতীয় ছবি : গম্বুজের নিচে পাওয়া গম্বুজের মাঝখানে কিছু চিহ্ন লিপিবদ্ধ রয়েছে বলে দেখা গেছে। তাহলে কি গম্বুজের মাঝখানে সত্যিই কোনও চিহ্ন আছে? সেই গম্বুজটি সরানোর চেষ্টা করতে গিয়েই কি ওই চিহ্ন তৈরি হয়েছিল? এসব প্রশ্নের উত্তরও জানার চেষ্টা করেছে জরিপ দল।
চতুর্থ ছবি : জ্ঞানব্যাপী মসজিদে ৪টি বেসমেন্ট রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। যখন এই ৪টি সেলারের দরজা খোলা হয়, তখন ভেতর থেকে এমন কিছু বেরিয়ে আসে যা হিন্দুপক্ষ প্রমাণ বলে দাবি করছে।
পঞ্চম ছবি : মসজিদের পশ্চিম দেওয়ালের দিকে যাওয়ার সময় জরিপ দল দুটি কবর দেখতে পায়। তাদের আকৃতি কেমন?
ষষ্ঠ ছবি : জরিপ দল মসজিদের পশ্চিম দিকের দেওয়াল এবং মসজিদে বিদ্যমান কাঠামোর মধ্যে পার্থক্য কী খুঁজে পেয়েছে?
অষ্টম ছবি : মন্দির ও মসজিদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা লোহার পাঁচিলের নিচে পাওয়া ভাঙা বেইজ প্রাচির ও জাফরান রঙের পাথর দেখা যায়। জরিপ দলটি জানার চেষ্টা করেছে যে ওগুলো আসলে কী?
নবম ছবি : মসজিদের জরিপের সময়, নমাজ পড়ার জন্য বিছানো কার্পেটগুলি সরিয়ে ফেলা হয়। যদিও আদালত কমিশনার সেখানে কী খুঁজে পেয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
দশম ছবি : জ্ঞানব্যাপী মসজিদে যা পাওয়া গেছে সেটা শিবলিঙ্গ। এই দাবি করেছে হিন্দুপক্ষ। এর ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে ৭টি অ্যাঙ্গেল থেকে।