আর হাতে গোনা দিন পরে রথযাত্রা। ভারতবর্ষ উৎসব প্রধান দেশ। বছরভর নানা অনুষ্ঠান উদযাপন পালন করেন ভারতবাসীরা। সেরকমই একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল রথযাত্রা (Rath Yatra)।
বিশেষ তিথিতে ধুমধাম করে রথযাত্রার উৎসব পালিত হয় পুরী, মাহেশ, ইস্কনের মন্দিরে। শুরু তাই নয়, যে সমস্ত মন্দিরে ও বনেদি বাড়িতে জগন্নাথ দেব আছে, সেখানেও ঘটা করে পালন করা হয় এই উৎসব।
এবার হুবহু পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের আদলে ৩২ ফুট লম্বা জগন্নাথ দেবের মন্দির স্থাপিত হচ্ছে উত্তর কলকাতার, উল্টোডাঙার মুচিবাজার এলাকায়। চলছে মন্দির নির্মাণের কাজ।
পুরীর মন্দিরের সিংহদ্বারের আদলেই তৈরি হবে এই মন্দিরের সিংহদ্বার। পুরীর মন্দিরের জগন্নাথ তৈরি করেন যে পান্ডারা তাঁদের বংশধরেরাই ৩০০ কেজি নিম কাঠ দিয়ে তৈরি করেছেন এই মন্দিরের পাঁচ ফুটের জগন্নাথ মহাপ্রভুর।
উত্তর কলকাতার তৃণমূলের জয় হিন্দ বাহিনীর সহ সভাপতি প্রতাপ দেবনাথের মানত ছিল এলাকার বিধায়ক সাধন পান্ডে ন'বার এলাকার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হলে এই মন্দির তৈরি করবেন।
সেই মনস্কামনা পূর্ণ হওয়ায় কথা মতো তৈরি হচ্ছে মন্দির। একেবারে পুরীর স্থাপত্য কারুকার্য এই মন্দিরেও খোদিত।
করোনা অতিমারী গত এক বছর ধরে ভিন্ন অনুষ্ঠানের ছন্দপতন ঘটিয়েছে। এবারও বন্ধ পুরীর রথযাত্রা। তবে ভক্ত সমাবেশ না হলেও, নিষ্ঠা করে পালন করা হবে নিয়মকানন। তাই পুরী না গিয়েও রথযাত্রায় এই মন্দিরে এসে প্রার্থনা করতে পারবেন ভক্তরা।
নিবেদন করা হবে ছাপান্ন ভোগ। মন্দিরের কারিগর বড় দুর্গা খ্যাত মিন্টু পাল। মঙ্গলবার ক্রেন দিয়ে বসানো হবে মন্দিরের চূড়া।