চৈতন্য ভূমি নদিয়ার নবদ্বীপে রাধাকৃষ্ণের ঝুলন উৎসব (Jhulan Yatra)। প্রত্যেক বছর বহু ভক্ত বৃন্দের সমাগম হলেও দুই বছর ধরে করোনা আবহে ভক্তবৃন্দের সংখ্যা কমেছে।
তবে স্থানীয় ও কিছু বহিরাগত ভক্তবৃন্দ নবদ্বীপে ঝুলন উৎসব দেখতে আসছেন। তাঁরা মাস্ক ও স্যানিটারাইজার ও দূরত্ব মেনে মন্দিরে প্রবেশ করছেন। নবদ্বীপে ঝুলন উৎসব দেখতে ভক্তবৃন্দ হাজির ছিলেন। মায়াপুর ইসকন (ISKCON)-এ ঝুলনযাত্রা উৎসব হলেও নবদ্বীপে ঝুলন উৎসব (Jhulan Yatra) বিদেশি ভক্তবৃন্দ কিংবা সাধারণ ভক্ত বৃন্দের কাছে আলাদা অনুভূতি।
পৌরাণিক যুগে ব্রজধাম বৃন্দাবনে ব্রজের রাখাল শ্রীকৃষ্ণ বিভিন্ন ঋতুতে সখীদের নিয়ে যে সমস্ত লীলা করতেন, সেই সব লীলার অন্যতম হল এই ঝুলন উৎসব। বাংলা বছরের শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণ পক্ষে একাদশী থেকে শুরু হয়ে পাঁচ দিন ধরে চলার পর পূর্ণিমার দিনে সমাপ্তি ঘটে এই উৎসবের।
চৈতন্যদেবের জন্মভূমি নবদ্বীপ ধামকে বলা হয় গুপ্ত বৃন্দাবন। তাই এই ঝুলন উৎসব (Jhulan Yatra)-এর দিনগুলিতে মন্দিরনগরী নবদ্বীপের বিভিন্ন মন্দিরগুলিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বিভিন্ন দেবদেবীর সঙ্গে রাধাকৃষ্ণের মূর্তিকে ঝুলন যাত্রা উৎসব সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
এই ঝুলন উৎসবের সময় দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষ আসেন নবদ্বীপ ধামে। কিন্তু বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির কারণে বহিরাগত যাত্রীদের ভিড় এ বছর না থাকলেও কোভিড বিধি মেনে বিভিন্ন মন্দিরে পালিত হচ্ছে ঝুলন যাত্রা (Jhulan Yatra) উৎসব।
নদিয়ার মায়াপুর ইসকন (ISKCON)-এর ঝুলন যাত্রা (Jhulan Yatra) প্রত্যেক বছর জাঁকজমক পালন করা হয়। তবে এবার জমকালো ভাবে করা হচ্ছে না। দুই বছর ধরে করোনা সংক্রমণের জন্য তা একবারে দর্শকশূন্য।
তবে করোনার কারণে সে সব পাল্টে গিয়েছে। সংক্রমণের কারণে ভিড় জমায়েত নেই বললেই চলে। অত্যন্ত সতর্ক কর্তৃপক্ষ। গত বার সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ ছিল কোনও রকমে নিয়ম মেনে ঝুলন যাত্রা (Jhulan Yatra) করা হচ্ছে। এই বছর কিছুটা শিথিল হলেও দর্শকদের প্রবেশ করানো হচ্ছে নিয়ম মেনে। সামাজিক দূরত্ববিধি, জীবনুনাশক স্প্রে করে দর্শকদের প্রবেশ করানো হয়েছে। বুধবার থেকে শুরু হল নদিয়ার মায়াপুর ইসকন (ISKCON)-এ ঝুলন যাত্রা (Jhulan Yatra)। এই দিন সন্ধ্যা থেকে শুরু হলো শ্রীকৃষ্ণের ঝুলন পূর্ণিমা। ৫ ধরে দিন চলবে এই ঝুলন।