দামি ঘড়ি পরলে ভাল সময় আসে না। কিন্তু বাস্তু অনুসারে ঘড়ি, আপনার সময় সত্যি বদলে দিতে পারে। ঘড়ি আপনার সময় ঠিক করতে পারে, আবার সময় খারাপও করে দিতে পারে। আজকে আপনাকে আমরা জানিয়ে দেব যে ঘড়ি লাগানো বা রাখার সময়ে, কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে, যা আপনাকে সুসময় এনে দেবে।
বাস্তু অনুযায়ী ঘরের দক্ষিণ দিককে যমের দিক বলে মনে করা হয়। সঙ্গে এই দিক স্থিরতারও দিক। এ দিকে ঘড়ি লাগালে উন্নতি থমকে যায়। সঙ্গে ঘরের প্রধান যিনি, তার জন্য এই দিকটি নির্ধারিত। এদিকে ঘড়ি লাগালে ঘরের গৃহকর্তার স্বাস্থ্য ভালো যায় না।
ঘরের মেন গেটের দরজার উপরে ঘড়ি লাগানো ভাল বলে মনে করা হয় না। এখানে ঘড়ি লাগালে বাড়িতে টানপোড়েন শুরু হয়। ঘরের ভিতর-বাহিরে আসা যাওয়ার সময় একাধিক নেগেটিভ এনার্জির প্রভাব ঘড়ির ওপর পড়ে। যার কারণে আপনার বিভিন্ন রকম সমস্যার মুখে পড়তে হয়।
ঘড়ি ঘরের পূর্ব, পশ্চিম বা উত্তর দিকে লাগানো উচিত। পূর্বদিকে ঘড়ি লাগালে ঘরের পরিবেশ শুভ এবং প্রেম-প্রীতিময় থাকে। ঘরে খুশি বজায় থাকে। পশ্চিম দিকে ঘড়ি লাগালে ঘরের সদস্যদের নতুন সুযোগ আসে। কাজ হোক বা ব্যবসা- ক্ষেত্রেই নতুন নতুন অপরচুনিটি মেলে। উত্তর দিকে ঘড়ি লাগালে ঘর থেকেও অর্থের অপচয় বন্ধ হয় এবং ঘরে আসা টাকাপয়সা স্থিত হয়।
বন্ধ ঘড়ি রাখা ঘরে একেবারেই উচিত নয়। তাতে পজিটিভ এনার্জি কমতে থাকে এবং নেগেটিভিটি বাড়তে থাকে। এ কারণে ঘরে বন্ধ ঘড়ি হয় সারাই করে নেওয়া উচিত, অথবা তা ঘর থেকে সরিয়ে ফেলা উচিত। ঘড়ির উপর যাতে ধুলো না জমে সে বিষয়টি নজর রাখতে হবে। নিয়মিত ঘড়ির উপরিভাগ পরিস্কার করা উচিত।
অনেকেই নিজের হাতে পরা রিস্টওয়াচ বালিশের নিচে রেখে ঘুমোন। এটি বাস্তু অনুসারে অত্যন্ত খারাপ অভ্যাস। এমন করলে মানুষের বিচার বিবেচনাতে নেগেটিভ প্রভাব পড়ে এবং তার স্বভাব বদলাতে শুরু করে।
ঘরে সবুজ এবং গেরুয়া রঙের এবং দোকানে কালো বা গাঢ় নীল রঙের ঘড়ি কখনওই লাগাবেন না। এতে ঘরে এবং দোকানে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে।
ঘরে যদি কোনও হল ঘর বা ড্রয়িং রুম থাকে, সেখানে চার কোণা এবং শোয়ার ঘরে গোল ঘড়ি লাগানো উচিত। এমন করলে ঘরের শান্তি এবং ভালোবাসার সম্পর্ক বজায় থাকে।
পেন্ডুলামওয়ালা ঘড়ির জন্য মনে করা হয় যে এই ধরণের ঘড়ি জীবনে খারাপ সময় দূর করে এবং উন্নতির পথে নিয়ে যায়। পেন্ডুলামওয়ালা ঘড়ির জন্য পূর্ব-পশ্চিম বা উত্তর দিক শুভ বলে মনে করা হয়। এমন ঘড়ি ড্রয়িং রুমে লাগানো সবচেয়ে ভাল।