করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন রোজ। এই পরিস্থিতিতে উৎসবে লাগাম পড়েছে সাধারণ মানুষের স্বার্থে। রাম নবমীতে সারা দেশে বহু মানুষ ভগবান রামের পূজার্চণা করে থাকেন। বাড়িতে বসেই পুজোর কাজ সম্পন্ন করুন। তার সঙ্গে ঘরে বসের দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত ১০ রাম মন্দির দর্শন করুন।
অযোধ্যা রাম মন্দির
দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত রাম মন্দির তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। দীর্ঘ বিবাদ মিটিয়ে রাম মন্দির তৈরির তোড়জোর চলছে। মন্দিরের নীল নকশা কেমন হবে তারই রূপ দেওয়া রয়েছে এখানে। রামায়ণের বর্ণনা অনুযায়ী অযোধ্যাতে জন্মেছিলেন ভগবান রাম। অনেকেই এই পুণ্যভূমিতে মাথা ঠেকাতে আসেন রামনবমীতে।
রাম রাজা মন্দির, মধ্যপ্রদেশ
মধ্যপ্রদেশের ওরচা-য় বেতোয়া নদীর তীরে রয়েছে এই মন্দির। মন্দিরের পিছনে একটি কাহিনি রয়েছে। ওরচার মহারানি ছিলেন ভগবান রামের একনিষ্ঠ ভক্ত। একবার তিনি অযোধ্যায় গিয়ে রামের আরাধনা করে তাঁকে ওরচায় আসার অনুরোধ করেন। ভগবান তাঁকে স্বপ্ন জানান, তিনি আশবেন তবে একটি শর্ত রয়েছে। যেখানে প্রথমে তিনি অধিষ্ঠান করবেন, সেখান থেকে নড়বেন না। রানি তাতেই রাজি হয়ে রাজপ্রাসাদে এনে রাখেন সেই মূর্তি। মন্দির তৈরি শেষ হলে মূর্তিকে সেখানে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন কিন্তু শর্ত অনুযায়ী রাম সেখান থেকে নড়েন না। তার পর থেকে সেই রাজমহল একটি মন্দির রূপেই দেখা হয়ে আসছে। বহু মানুষ এখানে আসেন দর্শনের জন্য। রাম নবমীতে গান স্যালুট দেওয়ার রীতি আছে।
সীতা রামচন্দ্রস্বামী, তেলেঙ্গানা
তেলেঙ্গানার ভদ্রাচলমের এই মন্দির দেশের অন্যতম বিখ্যাত রাম মন্দির। প্রতি রাম নবমীতে এখানে প্রতীকী রাম-সীতার বিয়ে উদযাপন করা হয়। হাজার হাজার ভক্ত সমাগম হয়। রামায়ণ অনুযায়ী এখান থেকেই গোদাবরী নদী পেরিয়ে লঙ্কার দিকে যাত্রা করেছিলেন রাম এবং লক্ষ্মণ।
রামস্বামী মন্দির, তামিলনাড়ু
৪০০ বছর আগে রাজা রঘুনাথ নাইকার মন্দির তৈরি করান। গোটা মন্দিরে রামায়ণের কাহিনি অবলম্বনে বহু ছবি আঁকা রয়েছে। মন্দিরে রাম, লক্ষ্মণ, ভরত এবং শত্রুঘ্ন চার ভাই রয়েছেন। তার সঙ্গে দেবী সিতা এবং হনুমানের মূর্তি দেখা যাবে মন্দিরে।
কলরম মন্দির, মহারাষ্ট্র
মহারাষ্ট্রের নাসিকে এই বিখ্যাত মন্দির রয়েছে। নাসিকের পঞ্চবটী অঞ্চলে তৈরি হয়েছে মন্দির। মনে করা হয়, বনবাসে যআওয়ার সময় ভগবান রাম সপরিবারে এখানে কিছউ দিন কাটিয়ে গিয়েছেন। ১৭৮২ সালে সর্দার রঙ্রাও ওধেকর এই মন্দির তৈরি করান।
ত্রিপ্রায়ার শ্রীরাম মন্দির, কেরল
কেরলের ত্রিচূরে ত্রিপ্রায়ার মন্দির দেশের অন্যতম বিখ্যাত রামমন্দির গুলির মধ্যে একটি। কথিত আছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এখানেই মূর্তি গড়ে ভগবান রামের পুজো করেছিলেন। কৃষ্ণের স্বর্গারোহনের পর মূর্তি সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যায়। এক জেলে সেই মূর্তি উদ্ধার করেন। তৎকালীন রাজা ভাক্কাইল কাইমাল তার পর মন্দির তৈরি করে মূর্তি পুনরায় প্রতিষ্ঠা করেন।
রাম মন্দির, ভুবনেশ্বর
ওডিশার ভুবনেশ্বরে খুবই ভব্য রাম মন্দির রয়েছে। এখানে রাম সীতা এবং লক্ষ্মণের মূর্তি পূজিত হয়। তার সঙ্গে মন্দির চত্বরেই হনুমান এবং শিবের একাধিক মন্দির রয়েছে।
কোদান্দারামা মন্দির, কর্নাটক
কর্নাটকের চিকমাগালুরুতে অবস্থিত কোদান্দারামা মন্দির। রামের ধনুককে এখানে বলা কোনদানা। সেই নাম অনুসারে মন্দিরের এমন নামকরণ হয়। মন্দিরে রাম, সীতা, লক্ষ্ণণের সঙ্গে হনুমানের মূর্তিও পূজিত হয়।
শ্রীরাম তীরথ মন্দির, অমৃতসর
পঞ্জাবের অমৃতসর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে চোগাওয়ান রোডে রয়েছে এই মন্দির। এখানেই দেবী সীতা বাল্মীকি মুণির আশ্রমে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এখানেই জন্ম হয় লব এবং কুশের। এখানে একটি কুয়ো রয়েছে, যেখানে দেবী সীতা স্না করতে যেতেন।