বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, পড়ার ঘর যদি সঠিক দিকে না থাকে, তাহলে তা শিশুর পড়াশোনায়ও প্রভাব ফেলে। সে যত ইচ্ছা পরিশ্রম করে, কিন্তু বাস্তু ত্রুটির কারণে সে তার পরিশ্রম অনুযায়ী ফল পেতে পারে না। তাই শিশুর পড়াশোনার জন্য পড়ার ঘরের দিকটা খেয়াল রাখা খুবই জরুরি।
বাস্তু নিয়ম অনুসারে, শিশুদের পড়ার ঘরটি উত্তর, পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিকে এমনভাবে হওয়া উচিত যাতে পড়াশোনা করার সময় মুখ পূর্ব বা উত্তর দিকে থাকে। বাড়ির পশ্চিম-মধ্য এলাকায় একটি পড়ার ঘর তৈরি করা খুবই উপকারী। এই দিকে, বুধ, বৃহস্পতি, চাঁদ এবং শুক্র গ্রহ থেকে সেরা প্রভাব পাওয়া যায়। এই দিকের ঘরে অধ্যয়নরত ছাত্ররা বুধের কাছ থেকে বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি পায়, গুরুর কাছ থেকে উচ্চাকাঙ্ক্ষা লাভ করে।
পড়ার ঘরের জানালা বা স্কাইলাইট পূর্ব-উত্তর বা পশ্চিমে বা সম্ভবত দক্ষিণে রাখা উচিত নয়। পড়ার ঘরের প্রবেশদ্বার পূর্ব, উত্তর-মধ্য বা পশ্চিমে হওয়া উচিত। এটি দক্ষিণ আগ্নেয় এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিমে হওয়া উচিত নয়।
পড়ার ঘরের কালার কম্বিনেশন সাদা, বাদামি, ফ্যাকাশে, আকাশী নীল বা হালকা বাদামি দেয়ালে এবং টেবিল-আসবাবপত্রে। কালো, লাল, গাঢ় নীল রং ঘরে থাকা উচিত নয়।
পড়ার ঘর অন্য ঘরের নিচতলা থেকে উঁচু বা নীচে রাখবেন না। মেঝের ঢাল পূর্ব বা উত্তর দিকে রাখতে হবে। চপ্পল এবং মোজা পরে পড়ার ঘরে প্রবেশ করা উচিত নয়।
পড়ার ঘর কখনই টয়লেটের কাছাকাছি হওয়া উচিত নয়। পড়ার জন্য ঘরে বইয়ের আলনা বা আলমারি পূর্ব বা উত্তর দিকে থাকা উচিত। জায়গার অভাবে বেডরুমে পড়াশোনা করলে পড়ার টেবিল, লাইব্রেরি ও র্যাবক পশ্চিম বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে হওয়া উচিত, তবে পড়াশোনার সময় মুখ পূর্ব বা উত্তর দিকে রাখতে হবে।
ড্রয়িং রুমে লেখাপড়ার সময়, আপনার ডেস্ক, চেয়ার ইত্যাদি শুধুমাত্র উত্তর বা উত্তর-পূর্ব কোণে রাখা উচিত, এবং বইয়ের ব়্যাকটি পশ্চিম বা দক্ষিণ দিকে রাখা উচিত। টেবিলে টেবিল ল্যাম্প রাখার সময় একটা কথা সবসময় মাথায় রাখতে হবে, ল্যাম্পটা টেবিলের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে হওয়া উচিত।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং বাস্তুশাস্ত্রে বলা তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, bangla.aajtak.in কোনও ধরনের অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারকে সমর্থন করে না। কোনও তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।