
বাস্তুশাস্ত্রে, কলাগাছকে সবচেয়ে পবিত্র এবং শুভ বলে মনে করা হয়। এটি ভগবান বিষ্ণু এবং গুরু বৃহস্পতির প্রিয় উদ্ভিদ।

যদি কলাগাছ সঠিক দিকে রোপণ করা হয়, তবে এটি পরিবারে শান্তি ও সুখ, সন্তানের সুখ, সম্পদ বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে আসে। ভুল জায়গায় রোপণ করলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কলাগাছ সম্পর্কে বাস্তু নিয়ম।

বাস্তু মতে, উত্তর-পূর্ব কোণ বা ঈষাণ কোন হল দেবতাদের স্থান। এখানে কলাগাছ লাগালে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এই দিকটি গুরু এবং বিষ্ণুর, তাই শিশুরা বুদ্ধিমান, বাধ্য এবং সফল হয়। বাড়িতে কখনও অর্থের অভাব হয় না।

যদি উত্তর-পূর্ব কোণে কোনও জায়গা না থাকে, তাহলে আপনি উত্তর বা পূর্ব দিকে এটি লাগাতে পারেন। উত্তর দিকে গাছ লাগালে সম্পদ এবং ব্যবসা বৃদ্ধি পায়। পূর্ব দিকে গাছ লাগালে সুস্বাস্থ্য বৃদ্ধি পায় এবং পরিবারের মধ্যে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। এই দুটি দিকই কলা গাছের জন্য আদর্শ।

দক্ষিণ, পশ্চিম বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে কখনও কলা গাছ লাগাবেন না। এগুলি যম এবং রাহু-কেতুর দিক। এখানে কলা গাছ লাগালে বাড়িতে কলহ, অসুস্থতা, ঋণ এবং সন্তান-সম্পর্কিত সমস্যা বৃদ্ধি পায়। এই ভুলগুলির কারণে অনেক বাড়িতে দুর্দশা দেখা দিয়েছে।

একটি, তিনটি বা পাঁচটি কলা গাছ লাগানো ভালো। বিজোড় সংখ্যা বৃহস্পতির শক্তি বৃদ্ধি করে। কখনও দুটি বা চারটি গাছ লাগাবেন না, কারণ এই সমন্বয়গুলি রাহুকে সক্রিয় করে। একটি রেখায় বা ত্রিভুজ আকারে গাছ লাগালে আরও শুভ ফল পাওয়া যাবে।

বৃহস্পতিবার সকালে অথবা একাদশীতে কলাগাছ লাগান। এটিকে একটি হলুদ কাপড়ে মুড়িয়ে দিন। গর্তে হলুদ, জাফরান, হলুদ চন্দন, সামান্য গুড় এবং ১১টি মুদ্রা রাখুন। গাছ লাগানোর সময় ১১ বার 'ওঁ নমো ভগবতে বাসুদেবায়' জপ করুন। প্রথম জল দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ঢেলে দিন।

প্রতি বৃহস্পতিবার কলা গাছে হলুদ এবং জাফরান মিশ্রিত জল ঢেলে দিন। এর চারপাশে একটি হলুদ কাপড় বা সুতো বেঁধে দিন। গাছের কাছে একটি প্রদীপ জ্বালান। শুকনো পাতাগুলি সরিয়ে ফেলুন এবং প্রবাহমান জলে ফেলে দিন। এতে ঘরে গুরু এবং বিষ্ণুর আশীর্বাদ বজায় থাকবে।

উত্তর-পূর্ব কোণে কলা গাছ লাগালে ৩-৬ মাসের মধ্যে দৃশ্যমান ফলাফল দেখা যেতে পারে। শিশুরা পড়াশোনায় আরও ভালো হয়, বাড়িতে সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় এবং সম্পর্ক আরও মধুর হয়।

Disclaimer: এই খবরটি ধর্মীয় গ্রন্থ, সাধারণ তথ্য এবং ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের উপর ভিত্তি করে লেখা কোনও নির্দিষ্ট তথ্যের জন্য, একজন ধর্মীয় বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে উপযুক্ত পরামর্শ নিন।